মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি পুরোনো ট্রলারঘাট এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের লঞ্চঘাট এলাকার নীরব ব্যাপারীর সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে পূর্ব রাস্তি এলাকার নাঈম ভূঁইয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে রাতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি দলও যোগ দেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকায় ৫ পুলিশসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বোমায় গুরুতর আহত রিফাত ঢালীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে সদর মডেল থানার পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী শহিদুল ব্যাপারী বলেন, হঠাৎ করেই অর্ধশত কিশোর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় তারা। এলাকায় ক্ষমতা দেখাতেই এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্যরা হলেন- মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস মোল্লা, সুমন খান, রমজান আলী সজল, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম খান ও কামরুল ইসলাম খান।

অন্য আহতেরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার রিফাত ঢালী (১৭), একই এলাকার সুরুজ ব্যাপারী (১৬), মাদ্রা এলাকার সোহেল (২৫), আমবাড়ি এলাকার মিলন সরদার (২০), শহরের শকুনি এলাকার ফারদিন মুন্সি (১৭), সবুজবাগ লঞ্চঘাট এলাকার নিশাদ (১৬), মহিষেরচর এলাকার রাব্বি খান শিতল (১৮), একই এলাকার ইয়াসিন খান (১৭), ইমন হাওলাদার (১৬), শহরের পুরানবাজারের নিবিড় (১৬), একই এলাকার নাহিদ (১৭) প্রমুখ। আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, দুই এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূলত সংঘর্ষ। এতে পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছেন। কিশোর গ্যাংয়ের উভয় পক্ষের আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। সংঘর্ষের হোতাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় আবার সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।