Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে কাতার এয়ারলাইন্সের ১২ জন আহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মাঝ আকাশে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে ১২ জন আহত হয়েছেন। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে যাচ্ছিল।

রোববার (২৬ মে) স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে ডাবলিনে উড়োজাহাজটি অবতরণ করলে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মী, বিমানবন্দরের পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।

ডাবলিন বিমানবন্দরের পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএএ বলেছে, দোহা থেকে যাত্রা শুরু করার পর তুরস্কের আকাশে থাকাকালীন তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়েছে কাতার এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। পরে আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার কিছুক্ষণ আগে ডাবলিন বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। এ সময় বিমানবন্দর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাসহ জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিউআর০১৭ পরিদর্শন করেন।

মাঝ-আকাশে ঝোড়ো বাতাসের কারণে কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটের অন্তত ছয় আরোহী ও ছয়জন ক্রেবিন ক্রু আহত হয়েছেন। ডিএএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডাবলিন বিমানবন্দর টিমের সদস্যরা যাত্রীদের এবং বিমানের কর্মীদের সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়েছেন।

তবে এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনও ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে ডিএএ। দোহা থেকে ডাবলিনগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যার কয়েকদিন আগেই একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।

গত সপ্তাহে ২১ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইট ঝোড়োগতির বাতাসের কবলে পড়ে। ওই দিন মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের ব্রিটিশ এক যাত্রী নিহত ও আরও শতাধিক আহত হন।

রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনায় ১০০ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এখনও নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।

পরে এই ঘটনার জন্য সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোহ চুন ফং ক্ষমা চান। তিনি বলেন, আকস্মিক তীব্র ঝাঁকুনিতে আঘাতপ্রাপ্ত বিমানের প্রত্যেক আরোহীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সিঙ্গাপুরের সরকার এই ঘটনায় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে কাতার এয়ারলাইন্সের ১২ জন আহত

প্রকাশের সময় : ১০:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মাঝ আকাশে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনিতে ১২ জন আহত হয়েছেন। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে যাচ্ছিল।

রোববার (২৬ মে) স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে ডাবলিনে উড়োজাহাজটি অবতরণ করলে জরুরি সেবা বিভাগের কর্মী, বিমানবন্দরের পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।

ডাবলিন বিমানবন্দরের পরিচালনাকারী সংস্থা ডিএএ বলেছে, দোহা থেকে যাত্রা শুরু করার পর তুরস্কের আকাশে থাকাকালীন তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়েছে কাতার এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। পরে আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার কিছুক্ষণ আগে ডাবলিন বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। এ সময় বিমানবন্দর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাসহ জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিউআর০১৭ পরিদর্শন করেন।

মাঝ-আকাশে ঝোড়ো বাতাসের কারণে কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটের অন্তত ছয় আরোহী ও ছয়জন ক্রেবিন ক্রু আহত হয়েছেন। ডিএএর একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডাবলিন বিমানবন্দর টিমের সদস্যরা যাত্রীদের এবং বিমানের কর্মীদের সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়েছেন।

তবে এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রমে কোনও ধরনের প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে ডিএএ। দোহা থেকে ডাবলিনগামী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যার কয়েকদিন আগেই একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।

গত সপ্তাহে ২১ মে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ফ্লাইট ঝোড়োগতির বাতাসের কবলে পড়ে। ওই দিন মাঝ-আকাশে তীব্র ঝাঁকুনিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের ব্রিটিশ এক যাত্রী নিহত ও আরও শতাধিক আহত হন।

রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনায় ১০০ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এখনও নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।

পরে এই ঘটনার জন্য সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোহ চুন ফং ক্ষমা চান। তিনি বলেন, আকস্মিক তীব্র ঝাঁকুনিতে আঘাতপ্রাপ্ত বিমানের প্রত্যেক আরোহীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সিঙ্গাপুরের সরকার এই ঘটনায় তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।