Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মসজিদের বাইরে ইমামকে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে একটি মসজিদের সামনে ইমামকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই ইমামের নাম হাসান শরীফ। তিনি নেওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভোরের দিকে অঙ্গরাজ্যটির সবচেয়ে বড় শহরে নিউওয়ার্কের মসজিদ-ই মোহাম্মদের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখনো হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৬টার দিকে মসজিদ-ই মোহাম্মদ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে ইমাম হাসান শরীফকে গুলি করা হয়। যখন তাঁকে গুলি করা হয় তখন তিনি তাঁর গাড়ির ভেতরে বসে ছিলেন। দ্রুতই তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার বিকেলের দিকে মারা যান তিনি।

হাসান শরীফ ২০০৬ সাল থেকে নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইন।

ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা তার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নিউয়ার্ক পাবলিক সেফটি ডিরেক্টর ফ্রিটজ ফ্রেজ এর আগে নিশ্চিত করেন যে, পুলিশের কাছে একটি ফোন কল আসে এবং তারা জানতে পারেন যে এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে।

নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট প্ল্যাটকিন বলেছেন, আমি জানি, বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের আলোকে ও অনেক সম্প্রদায়ের বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি নির্দেশিত পক্ষপাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনুভব করছি যে, এই মুহূর্তে নিউ জার্সিতে অনেকেই আছেন যারা এই হত্যাকাণ্ডের খবরে ব্যাপক ভীত ও উদ্বিগ্ন।

নিউওয়ার্ক শহরের জননিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক ফ্রিজ ফ্রেজ জানিয়েছেন, হাসান শরীফ বিগত পাঁচ বছর ধরে মসজিদ-ই মোহাম্মদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জানান, তিনি হাসান শরীফকে ভালোভাবে চেনে এবং হাসান শরীফ শহরটিকে নিরাপদ রাখতে আন্তঃসম্প্রদায় আলোচনার অন্যতম নেতা ছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো জাতিবিদ্বেষ রয়েছে কিনা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের নিউ জার্সি অধ্যায় ইমাম হাসান শরীফকে ‘নেতৃত্ব ও উৎকর্ষের বাতিঘর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলেছে, যেহেতু হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো অজানা তাই শহরের সব মসজিদের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা কিন্তু সবার জন্য মসজিদের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা মসজিদ থেকে ১০ ফুট দূরে পার্কিং লটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ইমামকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। তার পেটে ও বাম হাতে গুলি লেগেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আ. লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটাধিকার নিষিদ্ধ নয় : ফাওজুল কবির

মসজিদের বাইরে ইমামকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে একটি মসজিদের সামনে ইমামকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই ইমামের নাম হাসান শরীফ। তিনি নেওয়ার্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভোরের দিকে অঙ্গরাজ্যটির সবচেয়ে বড় শহরে নিউওয়ার্কের মসজিদ-ই মোহাম্মদের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এখনো হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৬টার দিকে মসজিদ-ই মোহাম্মদ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে ইমাম হাসান শরীফকে গুলি করা হয়। যখন তাঁকে গুলি করা হয় তখন তিনি তাঁর গাড়ির ভেতরে বসে ছিলেন। দ্রুতই তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার বিকেলের দিকে মারা যান তিনি।

হাসান শরীফ ২০০৬ সাল থেকে নিউয়ার্ক লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইন।

ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা তার মৃত্যুর খবর জানতে পেরে গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। নিউয়ার্ক পাবলিক সেফটি ডিরেক্টর ফ্রিটজ ফ্রেজ এর আগে নিশ্চিত করেন যে, পুলিশের কাছে একটি ফোন কল আসে এবং তারা জানতে পারেন যে এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে।

নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট প্ল্যাটকিন বলেছেন, আমি জানি, বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের আলোকে ও অনেক সম্প্রদায়ের বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি নির্দেশিত পক্ষপাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনুভব করছি যে, এই মুহূর্তে নিউ জার্সিতে অনেকেই আছেন যারা এই হত্যাকাণ্ডের খবরে ব্যাপক ভীত ও উদ্বিগ্ন।

নিউওয়ার্ক শহরের জননিরাপত্তা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক ফ্রিজ ফ্রেজ জানিয়েছেন, হাসান শরীফ বিগত পাঁচ বছর ধরে মসজিদ-ই মোহাম্মদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি জানান, তিনি হাসান শরীফকে ভালোভাবে চেনে এবং হাসান শরীফ শহরটিকে নিরাপদ রাখতে আন্তঃসম্প্রদায় আলোচনার অন্যতম নেতা ছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো জাতিবিদ্বেষ রয়েছে কিনা তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের নিউ জার্সি অধ্যায় ইমাম হাসান শরীফকে ‘নেতৃত্ব ও উৎকর্ষের বাতিঘর’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনটি বলেছে, যেহেতু হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো অজানা তাই শহরের সব মসজিদের উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা কিন্তু সবার জন্য মসজিদের দুয়ার উন্মুক্ত রাখার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা মসজিদ থেকে ১০ ফুট দূরে পার্কিং লটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ইমামকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। তার পেটে ও বাম হাতে গুলি লেগেছে।