হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা শহরের পাশে পুরোনো খোয়াই নদীতে জমা ময়লার স্তুপ পরিষ্কার করতে ডোবায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, এমপি।সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিনই নিজ উদ্যোগে তার কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে নদীতে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেন তিনি।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই নিজ শহরের পরিত্যক্ত খোয়াই নদী পরিষ্কারের মধ্যদিয়ে সামাজিক কাজ শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রথম ঘোষণা করেছিলেন, তিনি যখন চুনারুঘাটে আসবেন পুরোনো খোয়াই নদীর ময়লা পরিষ্কারের মাধ্যমে চুনারুঘাটের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করবেন।
প্রতিশ্রুতি পূরণে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীসহ ‘বিডি ক্লিন’র ছয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে পুরোনো খোয়াই নদীতে ময়লা পরিষ্কার করতে নামেন তিনি। কার্যক্রম বিকেল পর্যন্ত চলমান ছিল। শনিবারও (১৯ জানুয়ারি) কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আমার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল, আমি নির্বাচিত হলেই আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী পুরোনো খেয়াই নদী পরিষ্কার করে এখানে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক তৈরি করব।
তিনি বলেন, নদীর দুপাশে ওয়াক হয়ে থাকবে। নৌকা নিয়ে পর্যটকরা নদীতে ঘুরে বেড়াবেন। পাশাপাশি আমি চুনারুঘাট মাধবপুরকে একটি পর্যটন এলাকায় গড়ে তুলতে যা যা দরকার পাঁচ বছর সময় আমি তা করব।
সুমন বলেন, স্বপ্ন ছিল পরিত্যক্ত খোয়াই নদীতে নৌকায় চড়বো। ময়লা পরিষ্কার করে এখানে নিজে নৌকায় চড়বো, মানুষকে চড়াবো। এখন আমার সে স্বপ্ন সফল হয়েছে। এজন্য বিডি ক্লিনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘স্বপ্নের কথা বলা সহজ কিন্তু স্বপ্নের পথে নেমে এ ময়লা পরিষ্কার করতে আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। অন্যের ময়লা মানুষ নিজের মনে করে কীভাবে পরিষ্কার করতে পারে তার একটি অন্যরকম ধারণা পেলাম। আমি সবাইকে বলবো, স্বপ্নের কথা না বলে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আসেন। তখনই একদিন আপনি সোনার বাংলা বানাতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আজ কত মানুষ দেখতে এসেছেন। তাদের ময়লা বাইরের মানুষ এসে পরিষ্কার করে দিয়ে গেলো। আমি এলাকার মানুষকে বলেছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে চুনারুঘাট ও মাধবপুরকে একটি পর্যটন নগরী বানাতে চাই। আমি দেখাতে চাই একটি সঠিক নেতৃত্বের অধীনে এলে একটি এলাকা কত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে।’
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি 





















