Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট চুরির সব কৌশল প্রতিহত করা হবে: আমির খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চুরির যত ধরনের কৌশল পড়ুক না কেন তার প্রতিহত করা হবে। প্রতিহত করে জনগণের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর যারা ভোট চুরিতে সহযোগিতা করবে তাদের জনগণের সম্মুখীন হতে হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশ থেকে সরকার পতনে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণা করবে বিএনপি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও ভোট চুরির নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তারা নিজেদের অনুগত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় নিজেদের লোক বসাচ্ছেন। বিচার বিভাগ দলীয়করণ করছেন। সর্বোপরি ভোট চুরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ভোট চুরির সব প্রকল্প ভেঙেচুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে বারবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। সংবিধান কি আছে, সংবিধান তো আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) গিলে খেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যদি এতই ভালো হতো, তাহলে বিদেশিরা কেন আসছেন? কেন তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছেন? তারা তো ভারতে যাচ্ছেন না, নেপালে যাচ্ছেন না, শ্রীলঙ্কায়ও যাচ্ছেন না। বাংলাদেশে কেন আসছেন, কেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, তা বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের কথা বলে আর রেহাই পাবেন না। সেটা ভুলে যান। জনগণ জেগেছে, আপনাদের যেতেই হবে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তা হলে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। আজকে যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন, তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলে থাকেন, শেখ হাসিনা জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারছে না। আমি বলি- উনি জনগনের সেন্টিমেন্ট খুব ভালো করে বুঝেছেন। বুঝেছেন বলেই উনি ভোট চুরির পথ বেছে নিয়েছেন।

আমীর খসরু আরও বলেন, ১৯৭১ সালের জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকেও সময় এসেছে একই ধরনের বলিষ্ঠ ঘোষণার। সেই ঘোষণাই আমরা বিএনপি মহাসচিবের কাছ থেকে আজ শুনবো। এ ঘোষণা পর সবাইকে মাঠে নেমে পড়তে হবে। যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছেন, তারাও বিভিন্ন জায়গায় একই সমাবেশ ডেকেছেন, সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবাই এ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারাও প্রস্তুত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার জন্য।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

ভোট চুরির সব কৌশল প্রতিহত করা হবে: আমির খসরু

প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চুরির যত ধরনের কৌশল পড়ুক না কেন তার প্রতিহত করা হবে। প্রতিহত করে জনগণের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর যারা ভোট চুরিতে সহযোগিতা করবে তাদের জনগণের সম্মুখীন হতে হবে। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশ থেকে সরকার পতনে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন ঘোষণা করবে বিএনপি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও ভোট চুরির নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তারা নিজেদের অনুগত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় নিজেদের লোক বসাচ্ছেন। বিচার বিভাগ দলীয়করণ করছেন। সর্বোপরি ভোট চুরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। ভোট চুরির সব প্রকল্প ভেঙেচুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন নিয়ে বারবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। সংবিধান কি আছে, সংবিধান তো আপনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) গিলে খেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যদি এতই ভালো হতো, তাহলে বিদেশিরা কেন আসছেন? কেন তারা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছেন? তারা তো ভারতে যাচ্ছেন না, নেপালে যাচ্ছেন না, শ্রীলঙ্কায়ও যাচ্ছেন না। বাংলাদেশে কেন আসছেন, কেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, তা বুঝতে হবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের কথা বলে আর রেহাই পাবেন না। সেটা ভুলে যান। জনগণ জেগেছে, আপনাদের যেতেই হবে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তা হলে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। আজকে যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন, তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলে থাকেন, শেখ হাসিনা জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারছে না। আমি বলি- উনি জনগনের সেন্টিমেন্ট খুব ভালো করে বুঝেছেন। বুঝেছেন বলেই উনি ভোট চুরির পথ বেছে নিয়েছেন।

আমীর খসরু আরও বলেন, ১৯৭১ সালের জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আজকেও সময় এসেছে একই ধরনের বলিষ্ঠ ঘোষণার। সেই ঘোষণাই আমরা বিএনপি মহাসচিবের কাছ থেকে আজ শুনবো। এ ঘোষণা পর সবাইকে মাঠে নেমে পড়তে হবে। যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছেন, তারাও বিভিন্ন জায়গায় একই সমাবেশ ডেকেছেন, সংবাদ সম্মেলন করছেন। সবাই এ সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। তারাও প্রস্তুত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামার জন্য।