Dhaka মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে ব্যবহার হবে কিউআর কোড : ইসি সানাউল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলছেন, স্বচ্ছ নির্বাচনে কেউ ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে ব্যবহার হবে কিউআর কোড।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

সানাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। এর ব্যত্যয় যে করতে চাইবে তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না পর্যবেক্ষক-ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্স পর্যবেক্ষক কেউ হতে পারবে না। নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিন-এই তিন দিন পর্যবেক্ষকরা দায়িত্ব পালন করবেন। ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে পরিচয়পত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে।

মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার ব্যত্যয় যারা ঘটাবে তাদের নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম ছাড় দিবে না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ থাকবে। নির্বাচন কমিশনের চেইনে যারা কাজ করবে তারা স্বচ্ছ থাকবে।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এবং ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে। যেসব নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি সেখানে অনেক কিছুই স্বাভাবিকভাবে উবে যায়।

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য কিছু কাজ চ্যালেঞ্জিং, আবার কিছু কাজ সহজ। চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হলো- যারা পূর্বে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেককেই গত তিন নির্বাচনের কারণে এবং সম্পৃক্ততার ধরন অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রথম জিনিসটাই হচ্ছে আমাদের ওই অতীত যে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে এই ধরনের উদাহরণ আমরা সৃষ্টি করতে চাই না। কোন অবস্থাতেই নয়, পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে তো নয়। সুতরাং এটা আপনাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ অতীতের মতো ঘটনা পুনরায় যেন না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষকদের বয়স কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে। তাই অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে। এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও অবহিতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী আইন এবং বিধিমালা সম্পর্কে তাদের যথাযথ ধারণা থাকা জরুরি। পর্যবেক্ষণের কাজ শুধু তিনদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, প্রস্তুতি কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার এই নিবন্ধন পাঁচ বছরের জন্য প্রযোজ্য, যার মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন এবং চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত। এ সময়কালে সংস্থাগুলো তিন ধরনের প্রতিবেদন জমা দেবে। নির্বাচন শেষের ৭ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন, এক মাসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং দ্বিবার্ষিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই কোন পার্টিজান বা পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবে না। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের পেশাদার দায়িত্বে তা প্রতিফলিত হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষকদের তালিকা দাখিল করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে ব্যবহার হবে কিউআর কোড : ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলছেন, স্বচ্ছ নির্বাচনে কেউ ব্যত্যয় ঘটাতে চাইলে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে ব্যবহার হবে কিউআর কোড।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

সানাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। এর ব্যত্যয় যে করতে চাইবে তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না পর্যবেক্ষক-ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে।

তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্স পর্যবেক্ষক কেউ হতে পারবে না। নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরের দিন-এই তিন দিন পর্যবেক্ষকরা দায়িত্ব পালন করবেন। ভুয়া পর্যবেক্ষক ধরতে পরিচয়পত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে।

মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে। তিনি বলেন, স্বচ্ছতার ব্যত্যয় যারা ঘটাবে তাদের নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম ছাড় দিবে না। এ ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ থাকবে। নির্বাচন কমিশনের চেইনে যারা কাজ করবে তারা স্বচ্ছ থাকবে।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে এবং ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হবে। যেসব নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি সেখানে অনেক কিছুই স্বাভাবিকভাবে উবে যায়।

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য কিছু কাজ চ্যালেঞ্জিং, আবার কিছু কাজ সহজ। চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম হলো- যারা পূর্বে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেককেই গত তিন নির্বাচনের কারণে এবং সম্পৃক্ততার ধরন অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া যায়নি। তিনি বলেন, প্রথম জিনিসটাই হচ্ছে আমাদের ওই অতীত যে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে এই ধরনের উদাহরণ আমরা সৃষ্টি করতে চাই না। কোন অবস্থাতেই নয়, পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে তো নয়। সুতরাং এটা আপনাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ অতীতের মতো ঘটনা পুনরায় যেন না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, পর্যবেক্ষকদের বয়স কমিয়ে ২১ বছর করা হয়েছে। তাই অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকতে পারে। এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও অবহিতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী আইন এবং বিধিমালা সম্পর্কে তাদের যথাযথ ধারণা থাকা জরুরি। পর্যবেক্ষণের কাজ শুধু তিনদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, প্রস্তুতি কাজ এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার এই নিবন্ধন পাঁচ বছরের জন্য প্রযোজ্য, যার মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন এবং চারটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত। এ সময়কালে সংস্থাগুলো তিন ধরনের প্রতিবেদন জমা দেবে। নির্বাচন শেষের ৭ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন, এক মাসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন এবং দ্বিবার্ষিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, যে এলাকার ভোটার সেই এলাকায় পর্যবেক্ষণ করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই কোন পার্টিজান বা পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবে না। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের পেশাদার দায়িত্বে তা প্রতিফলিত হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পর্যবেক্ষকদের তালিকা দাখিল করতে হবে।