Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করেন।

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার চিন্তিত নয়।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার তাতে সহায়তা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা কতটা সহায়ক হবে, তা আমি জানি না।

উন্নয়নের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে। তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই বলবে, আমি উপযুক্ত ব্যক্তি নই এ বিষয়ে কথা বলার। ইতোমধ্যে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত জবাব দিয়েছে। সেটিই আমার বক্তব্য। সেখানে আমরা বলেছি- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে আরেকটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে, আগামী দিনে কারা সরকার গঠন করবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটা (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) সরকারি ও বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটি সবার জন্য প্রযোজ্য। যারাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আমরাও বারবার বলেছি, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমরা যেকোনো মূল্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন করবো। আমি মনে করি এটা সবার জন্য সতর্কবার্তা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া এর বাইরে কিছু করলে যুক্তরাষ্ট্র সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করবে না।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি মনে করি এ স্যাংশনসটা…আমাদের অনেক অশুভশক্তি রয়েছে, অসাংবিধানিক গোষ্ঠী রয়েছে, ১৯৭৫ সালে তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। বারবার এ অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এসে, যেটা আপনারা দেখছেন পাকিস্তানে ঘটছে। এমন ধারা বাংলাদেশেও আসতে পারে। আমরা সরকার বা আওয়ামী লীগ এটা (নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে চিন্তিত না। আমরা আমাদের বিবেক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছি। কাজেই এটা নিয়ে আমাদের কোনো ভয় নেই। সুনির্দিষ্ট কারও ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কেউ করলে তার ওপর দেবে। সেক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট।

তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেটা সঠিক নয়, আমরা সেটা করবো না। এমন কিছু করবো না যেটার মাধ্যমে আমাদের কেউ ভিসা থেকে বঞ্চিত হয়।

সরকার কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- জানতে চাইলে বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমরা অতীতে দেখিনি। এটি বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করে- তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপরাধ থেকে মুক্ত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেই দায়িত্ব তাদের। শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করবো, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার জন্য। সেজন্য সরকারের কোনো কার্পণ্য থাকবে না, কোনো আন্তরিকতার অভাব দেখাবে না। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

রোহিঙ্গা সংকটে চীনা সহায়তা আসবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি বাংলাদেশের পক্ষে ১০-১১ লাখ রোহিঙ্গার খাবার, বাসস্থান, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়াটা বেশি কঠিন। আমরা তাদের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। চীনা রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিরোধী দল ২০১৪ সালে নির্বাচন ব্যাহত করতে চেষ্টা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বিভিন্ন সময়ে এই অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এসে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নিজের অতিথিদের থাপড়াতে চাইলেন পরীমণি!

ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুর রাজ্জাক এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাক্ষাৎ করেন।

চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বেসরকারি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার চিন্তিত নয়।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার তাতে সহায়তা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা কতটা সহায়ক হবে, তা আমি জানি না।

উন্নয়নের কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণ বারবার ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে। তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই বলবে, আমি উপযুক্ত ব্যক্তি নই এ বিষয়ে কথা বলার। ইতোমধ্যে সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত জবাব দিয়েছে। সেটিই আমার বক্তব্য। সেখানে আমরা বলেছি- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে আরেকটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে, আগামী দিনে কারা সরকার গঠন করবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটা (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) সরকারি ও বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটি সবার জন্য প্রযোজ্য। যারাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আমরাও বারবার বলেছি, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমরা যেকোনো মূল্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন করবো। আমি মনে করি এটা সবার জন্য সতর্কবার্তা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া এর বাইরে কিছু করলে যুক্তরাষ্ট্র সেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করবে না।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি মনে করি এ স্যাংশনসটা…আমাদের অনেক অশুভশক্তি রয়েছে, অসাংবিধানিক গোষ্ঠী রয়েছে, ১৯৭৫ সালে তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। বারবার এ অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এসে, যেটা আপনারা দেখছেন পাকিস্তানে ঘটছে। এমন ধারা বাংলাদেশেও আসতে পারে। আমরা সরকার বা আওয়ামী লীগ এটা (নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে চিন্তিত না। আমরা আমাদের বিবেক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছি। কাজেই এটা নিয়ে আমাদের কোনো ভয় নেই। সুনির্দিষ্ট কারও ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কেউ করলে তার ওপর দেবে। সেক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট।

তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেটা সঠিক নয়, আমরা সেটা করবো না। এমন কিছু করবো না যেটার মাধ্যমে আমাদের কেউ ভিসা থেকে বঞ্চিত হয়।

সরকার কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- জানতে চাইলে বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমরা অতীতে দেখিনি। এটি বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য। যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করে- তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপরাধ থেকে মুক্ত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেই দায়িত্ব তাদের। শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করবো, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার জন্য। সেজন্য সরকারের কোনো কার্পণ্য থাকবে না, কোনো আন্তরিকতার অভাব দেখাবে না। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

রোহিঙ্গা সংকটে চীনা সহায়তা আসবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি বাংলাদেশের পক্ষে ১০-১১ লাখ রোহিঙ্গার খাবার, বাসস্থান, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়াটা বেশি কঠিন। আমরা তাদের রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছি। চীনা রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

বিরোধী দল ২০১৪ সালে নির্বাচন ব্যাহত করতে চেষ্টা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বিভিন্ন সময়ে এই অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এসে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে।