Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ড. ইউনূস

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল কাম সড়ক সেতু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৪ মে চট্টগ্রাম সফরের সময় আলোচিত এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ শেষ করতে চাইছে রেলওয়ে।

২০২৪ সালে একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে আটটি দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়ার পর এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) ডাকা হয়েছে। দুই ধাপে এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। এরপর জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ডিটেইল ডিজাইন চূড়ান্ত করে ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে ভৌত কাজ শুরু করবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শেষ হওয়ায় কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ৮ মে।

ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু হলেও প্রায় শতবর্ষী কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। সাময়িক মেরামত করে ভারী ইঞ্জিন ও দীর্ঘতম ট্রেন চালানো হলেও ভবিষ্যতে এই রুটে ট্রেন সংখ্যা বাড়াতে একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল রেলের। কিন্তু রেলসেতুর সঙ্গে যান চলাচলের সুবিধা রাখার বিষয়ে জটিলতা, সেতুর উচ্চতা নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আপত্তিসহ অর্থায়ন জটিলতায় সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১২ দশমিক ২ মিটার উঁচু সেতু নির্মাণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পর সেতুটির দৈর্ঘ্য ও নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যায়। সর্বশেষ একনেক সভায় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার, বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা আসবে কোরীয় ঋণ থেকে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১১ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১০০ ফুট। তবে নদীর ওপর মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে মাত্র ৭০০ মিটার।

উভয় পাশে সাড়ে চার কিলোমিটার করে ভায়াডাক্ট নির্মাণ হবে। এক্সট্রা ডোজ টাইপ সেতুটির এক পাশে দুটি ডুয়াল গেজ রেলপথ ছাড়াও অন্য পাশে স্ট্যান্ডার্ড মানের দুই লেনের (প্রতিটি লেন ১৮ ফুট) সড়ক ছাড়াও উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ (৫ ফুট করে) পথচারী পারাপারের সুব্যবস্থা রাখা হবে। সেতুটির নদীর অভ্যন্তরে পাঁচটিসহ মোট সাতটি স্প্যান থাকবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্প

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ড. ইউনূস

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল কাম সড়ক সেতু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৪ মে চট্টগ্রাম সফরের সময় আলোচিত এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ শেষ করতে চাইছে রেলওয়ে।

২০২৪ সালে একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে আটটি দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়ার পর এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) ডাকা হয়েছে। দুই ধাপে এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। এরপর জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের ডিটেইল ডিজাইন চূড়ান্ত করে ২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে ভৌত কাজ শুরু করবে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প শেষ হওয়ায় কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ১৪ মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে ৮ মে।

ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু হলেও প্রায় শতবর্ষী কালুরঘাট রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। সাময়িক মেরামত করে ভারী ইঞ্জিন ও দীর্ঘতম ট্রেন চালানো হলেও ভবিষ্যতে এই রুটে ট্রেন সংখ্যা বাড়াতে একটি নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল রেলের। কিন্তু রেলসেতুর সঙ্গে যান চলাচলের সুবিধা রাখার বিষয়ে জটিলতা, সেতুর উচ্চতা নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আপত্তিসহ অর্থায়ন জটিলতায় সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১২ দশমিক ২ মিটার উঁচু সেতু নির্মাণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পর সেতুটির দৈর্ঘ্য ও নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যায়। সর্বশেষ একনেক সভায় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে সরকার, বাকি ৭ হাজার ১২৫ কোটি টাকা আসবে কোরীয় ঋণ থেকে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১১ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১০০ ফুট। তবে নদীর ওপর মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে মাত্র ৭০০ মিটার।

উভয় পাশে সাড়ে চার কিলোমিটার করে ভায়াডাক্ট নির্মাণ হবে। এক্সট্রা ডোজ টাইপ সেতুটির এক পাশে দুটি ডুয়াল গেজ রেলপথ ছাড়াও অন্য পাশে স্ট্যান্ডার্ড মানের দুই লেনের (প্রতিটি লেন ১৮ ফুট) সড়ক ছাড়াও উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ (৫ ফুট করে) পথচারী পারাপারের সুব্যবস্থা রাখা হবে। সেতুটির নদীর অভ্যন্তরে পাঁচটিসহ মোট সাতটি স্প্যান থাকবে।