Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের মধ্যপ্রদেশে আতশবাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। কারখানার ভেতরে বেশ কিছু শ্রমিক আটকা পড়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজ্যের হরদা জেলার বৈরাগড়ের ওই বাজি কারখানায় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তারপর একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ানক শব্দে কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশের এলাকাও। কয়েক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজে বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা দেখা গেছে। হতাহত ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গিয়েছে। সামরিক বাহিনীর হেলিকম্পারও মোতায়েন করা হয়েছিল।

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, বিস্ফোরণের এ ঘটনা খুবই দুঃখের। নিকটবর্তী হাসপাতাগুলোয় থাকা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের ‘প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি’ নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন ঘটনাস্থলে অন্তত ২০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরও ৫০টি পাঠানো হচ্ছে।

হার্দা জেলা হাসপাতালের সার্জন মনীশ শর্মা বলেন, ‘স্রোতের মতো রোগী আসছে। আমাদের হাসপাতালে আমরা আটজনকে দ্বগ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। মোট ৯০ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বড় হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ২ হাজার ৪০০ ডলার করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৬০০ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের সমন্বয়ক জ্যেষ্ঠ জেলা কর্মকর্তা কৈলাশ চন্দ্র পার্তে বলেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ২০০ থেকে ৩০০ জন কাজ করছিলেন। তবে ঘটনার সময় ঠিক কতজন ভেতরে ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে কমপ্লেক্সের আশপাশের অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল রাইস খান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ভয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পদদলিত হয়েও কারও কারও মৃত্যু হয়েছে।

এখন বেশ আতশবাজি ফুটানো হয়। কিন্তু অনেক কারখানাই মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় এবং আবার অনেকে অনুমতি না নিয়েই কারখানা চালায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

ভারতের মধ্যপ্রদেশে আতশবাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৮

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। কারখানার ভেতরে বেশ কিছু শ্রমিক আটকা পড়েছেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজ্যের হরদা জেলার বৈরাগড়ের ওই বাজি কারখানায় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তারপর একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ানক শব্দে কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশের এলাকাও। কয়েক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজে বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা দেখা গেছে। হতাহত ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গিয়েছে। সামরিক বাহিনীর হেলিকম্পারও মোতায়েন করা হয়েছিল।

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, বিস্ফোরণের এ ঘটনা খুবই দুঃখের। নিকটবর্তী হাসপাতাগুলোয় থাকা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের ‘প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি’ নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন ঘটনাস্থলে অন্তত ২০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরও ৫০টি পাঠানো হচ্ছে।

হার্দা জেলা হাসপাতালের সার্জন মনীশ শর্মা বলেন, ‘স্রোতের মতো রোগী আসছে। আমাদের হাসপাতালে আমরা আটজনকে দ্বগ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। মোট ৯০ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বড় হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ২ হাজার ৪০০ ডলার করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৬০০ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের সমন্বয়ক জ্যেষ্ঠ জেলা কর্মকর্তা কৈলাশ চন্দ্র পার্তে বলেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ২০০ থেকে ৩০০ জন কাজ করছিলেন। তবে ঘটনার সময় ঠিক কতজন ভেতরে ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে কমপ্লেক্সের আশপাশের অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল রাইস খান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ভয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পদদলিত হয়েও কারও কারও মৃত্যু হয়েছে।

এখন বেশ আতশবাজি ফুটানো হয়। কিন্তু অনেক কারখানাই মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় এবং আবার অনেকে অনুমতি না নিয়েই কারখানা চালায়।