Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে ভারত। তবে এতে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারতের কলকাতা বন্দর, নবসেবা বন্দর ও কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করার ফলে এখন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করা হবে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে এবং এটা সম্ভব।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গতকালই (বুধবার) বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সেখানে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করব। নিজস্ব সক্ষমতায় প্রতিযোগিতায় যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিয়ে কাজ করছি। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কাজ করছি যোগাযোগের ব্যাপারেও যাতে কোনো ঘাটতি না হয়।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, রপ্তানি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে সেটার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এখন। বাণিজ্যকে কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক করা যায়, সেটা নিয়ে এখন কাজ করবে সরকার। অবশ্যই এখান থেকে উতরানো সম্ভব হবে।

ভারতে এমন সিদ্ধান্তে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু আছে অবকাঠামোগত বিষয়, কিছু আছে খরচ বৃদ্ধি, এসব নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, সমস্যা কাটিয়ে উঠব।

বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ধরনের দাবি উঠেছে যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট বাতিল করা যায় কি না- এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমার বিষয় না। আমার বিষয় হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবো না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে। সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবো। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।

ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভারতকে কোনো চিঠি পাঠানো হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে এটা বিবেচনা করছি না।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়—জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়কপথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করবো, ইনশাআল্লাহ। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে করণীয় আছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো- সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি সমন্বয় করাই আমাদের মূল আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাজ করছি।

শেখ বশীরউদ্দিন বলেন, গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন সম্ভব আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে নিজেরাও যাবো এবং আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে ভারত। তবে এতে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ভারতের কলকাতা বন্দর, নবসেবা বন্দর ও কলকাতা বিমান কার্গো কমপ্লেক্স ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করার ফলে এখন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করা হবে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে এবং এটা সম্ভব।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গতকালই (বুধবার) বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সেখানে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করব। নিজস্ব সক্ষমতায় প্রতিযোগিতায় যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিয়ে কাজ করছি। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কাজ করছি যোগাযোগের ব্যাপারেও যাতে কোনো ঘাটতি না হয়।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, রপ্তানি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না পড়ে সেটার সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে এখন। বাণিজ্যকে কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক করা যায়, সেটা নিয়ে এখন কাজ করবে সরকার। অবশ্যই এখান থেকে উতরানো সম্ভব হবে।

ভারতে এমন সিদ্ধান্তে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু আছে অবকাঠামোগত বিষয়, কিছু আছে খরচ বৃদ্ধি, এসব নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, সমস্যা কাটিয়ে উঠব।

বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ধরনের দাবি উঠেছে যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট বাতিল করা যায় কি না- এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমার বিষয় না। আমার বিষয় হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবো না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে। সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবো। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।

ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভারতকে কোনো চিঠি পাঠানো হবে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে এটা বিবেচনা করছি না।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় কী পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়—জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের মতো ম্যাটেরিয়াল সড়কপথে এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন বন্দর বিশেষ করে দিল্লি, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হতো। আমরা আশা করি এই ম্যাটেরিয়ালগুলো বহনের জন্য নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করবো, ইনশাআল্লাহ। সাধারণত ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পণ্যগুলো যেত।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে করণীয় আছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো- সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি সমন্বয় করাই আমাদের মূল আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাজ করছি।

শেখ বশীরউদ্দিন বলেন, গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন সম্ভব আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে নিজেরাও যাবো এবং আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো।