Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত ৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে জয়পুর থেকে মুম্বাইয়ে যাওয়ার পথে একটি চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুর থেকে মুম্বাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

নিহতদের মধ্যে তিনজন সাধারণ যাত্রী এবং অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা। অভিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মীর নাম চেতন সিং। তিনি ভারতের রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর কনস্টেবল।

জানা যায়, জয়পুর থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা তখন প্রায় সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। মহারাষ্ট্রের পালঘর স্টেশন পেরোনোর পর আচমকা ট্রেনের মধ্যে থাকা এক আরপিএফ কর্মী নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

এনডিটিভি খবরে বলা হয়, রোববার ভোর পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত কনস্টেবল তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালান। এতে ডিউটির দায়িত্বে থাকা তার সহকর্মী এএসআই টিকা রাম মীনা নিহত হন। এ সময় মুম্বাই যাওয়ার পথে ট্রেনে থাকা তিন যাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। পরে দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফ দেন। তবে সরকারি রেল পুলিশ ও আরপিএফ কর্মকর্তাদের সহায়তায় মীরা রোডে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো হামলার কারণ জানা যায়নি। এই ঘটনার বিশদ তদন্ত করা হচ্ছে। আটকের পর অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এএসআই টিকা রামের সঙ্গে সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল ওই কনস্টেবলের।

ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর-মুম্বাই এক্সপ্রেসের (ট্রেন নম্বর ১২৯৫৬) বি৫ কোচে। ঘটনার পর ট্রেনটিকে বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে মরদেহগুলো নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এএসআই টিকা রামের সঙ্গে হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল কনস্টেবল চেতন কুমারের। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিম রেলওয়েকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন চেতন সিং। গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যার পরই ট্রেনের চেন টেনে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়। তার অস্ত্রটিও জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন চেতন সিং। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ছুটি চাইছিলেন। ঘটনার আগের দিন তিনি বলেছিলেন, তার অসহিষ্ণু লাগছে। তখন তাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ঘটনার পর ট্রেনটি বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখান থেকে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

ভারতে চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে নিহত ৪

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতে জয়পুর থেকে মুম্বাইয়ে যাওয়ার পথে একটি চলন্ত ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুর থেকে মুম্বাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

নিহতদের মধ্যে তিনজন সাধারণ যাত্রী এবং অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা। অভিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মীর নাম চেতন সিং। তিনি ভারতের রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর কনস্টেবল।

জানা যায়, জয়পুর থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা তখন প্রায় সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন। মহারাষ্ট্রের পালঘর স্টেশন পেরোনোর পর আচমকা ট্রেনের মধ্যে থাকা এক আরপিএফ কর্মী নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

এনডিটিভি খবরে বলা হয়, রোববার ভোর পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত কনস্টেবল তার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালান। এতে ডিউটির দায়িত্বে থাকা তার সহকর্মী এএসআই টিকা রাম মীনা নিহত হন। এ সময় মুম্বাই যাওয়ার পথে ট্রেনে থাকা তিন যাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। পরে দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফ দেন। তবে সরকারি রেল পুলিশ ও আরপিএফ কর্মকর্তাদের সহায়তায় মীরা রোডে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো হামলার কারণ জানা যায়নি। এই ঘটনার বিশদ তদন্ত করা হচ্ছে। আটকের পর অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এএসআই টিকা রামের সঙ্গে সম্ভবত কোনও বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল ওই কনস্টেবলের।

ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর-মুম্বাই এক্সপ্রেসের (ট্রেন নম্বর ১২৯৫৬) বি৫ কোচে। ঘটনার পর ট্রেনটিকে বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখানে মরদেহগুলো নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- এএসআই টিকা রামের সঙ্গে হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে বিবাদ হয়েছিল কনস্টেবল চেতন কুমারের। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিম রেলওয়েকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, জয়পুর এক্সপ্রেসের বি ফাইভ কোচে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন চেতন সিং। গুলি চালিয়ে চার জনকে হত্যার পরই ট্রেনের চেন টেনে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়। তার অস্ত্রটিও জব্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন চেতন সিং। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ছুটি চাইছিলেন। ঘটনার আগের দিন তিনি বলেছিলেন, তার অসহিষ্ণু লাগছে। তখন তাকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে ঘটনার পর ট্রেনটি বরিভালি স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। সেখান থেকে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় বাবাসাহেব অম্বেডকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।