আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানার একটি কারখানায় গ্যাস লিক হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই গ্যাস লিকের কারণে জ্ঞান হারান। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৪ জন।
রোববার (৩০ এপ্রিল) পাঞ্জাবের লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হচ্ছে, ইতোমধ্যে গ্যাস লিকের পর একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়াও ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি ফায়ার ব্রিগেড দলও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ৫০ সদস্যের একটি দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও ছয়জন পুরুষ রয়েছে। এই ঘটনায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ১০ ও ১৩ বছর বয়সী দুইজন বালক রয়েছে।
লুধিয়ানার সাব ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট স্বতি তিওয়ানা বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, অবশ্যই, এটি একটি গ্যাস লিকের ঘটনা। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এটি কী ধরনের গ্যাস এবং কীভাবে গ্যাস লিক হলো সেটির কারণ এখনো জানা যায়নি। এনডিআরএফ দল বিষয়টি তদন্ত করবে।
ম্যাজিস্ট্রেট স্বতি জানিয়েছেন, যেখানে গ্যাস লিক হয়েছে সেটি একটি জনবহুল এলাকা। ফলে এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো দ্রুত সাধারণ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগওয়ান্ত মান। টুইটে তিনি বলেন, লুধিয়ানার গিয়াসপুরা এলাকায় একটি কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পুলিশ, সরকার এবং এনডিআরএফ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সূত্র: এনডিটিভি।