Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতে করোনা সংক্রমণ ১২ হাজার ৫৯১ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হঠাৎ করে আবারও ভারতে হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায়  দেশটিতে ১২ হাজার ৫৯১ জন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। গত ৮ মাসের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। যা এর আগের দিনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। করোনার উপ-ধরন এক্সবিবি.১.১৬ কারণে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে তারা বলেছেন, সংক্রমণ বাড়লেও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বদলে করোনা বিধি মেনে চলা ও করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৫ হাজার ২৮৬।

দেশটিতে করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ২৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জন। এর মধ্যে কেরালায় মারা গেছে ১১ জন।

বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১।

এর মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৯০ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৬৪৯ জন।

দেশটিতে দৈনিক পজিটিভ কেস ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং সাপ্তাহিত পজিটিভ কেস ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২২০ কোটি ৬৬ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বগতি কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভাইরাস নিয়ে দেশটিতে যে ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল— এখন এর তেমন কিছুই নেই। এছাড়া বিধিনিষেধ মানতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করতেও তেমন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় না।

বিশ্বে করোনা বিধিনিষেধ আরোপ ও সেগুলো কার্যকরে সবচেয়ে বেশি কড়াকাড়ি দেখিয়েছে চীন। দেশটিতে ২০২২ সালের শেষ দিক পর্যন্তও লকডাউন আরোপ করতে দেখা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই, গ্লাভসসহ ভারী পোশাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

কিন্তু ২০২২ সালের শেষ দিকে লকডাউনে আবদ্ধ একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হলে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। এরপর চীনের সরকার কঠোর সব বিধি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

বর্তমানে দেশটির সরকার করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনো খবর আর প্রকাশ করছে না। ফলে দেশটিতে এখন করোনার প্রভাব কেমন রয়েছে সে বিষয়ে কারও সুষ্পষ্ট কোনো ধারণা নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভারতে করোনা সংক্রমণ ১২ হাজার ৫৯১ জন

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

হঠাৎ করে আবারও ভারতে হু হু করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। ২৪ ঘণ্টায়  দেশটিতে ১২ হাজার ৫৯১ জন এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। গত ৮ মাসের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। যা এর আগের দিনের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। করোনার উপ-ধরন এক্সবিবি.১.১৬ কারণে হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়েছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে তারা বলেছেন, সংক্রমণ বাড়লেও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বদলে করোনা বিধি মেনে চলা ও করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৫ হাজার ২৮৬।

দেশটিতে করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ২৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ জন। এর মধ্যে কেরালায় মারা গেছে ১১ জন।

বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার আপডেট দেওয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪০১।

এর মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৯০ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৬৪৯ জন।

দেশটিতে দৈনিক পজিটিভ কেস ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং সাপ্তাহিত পজিটিভ কেস ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২২০ কোটি ৬৬ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বগতি কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ২০২০ সালের শুরুর দিকে ভাইরাস নিয়ে দেশটিতে যে ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল— এখন এর তেমন কিছুই নেই। এছাড়া বিধিনিষেধ মানতে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করতেও তেমন তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় না।

বিশ্বে করোনা বিধিনিষেধ আরোপ ও সেগুলো কার্যকরে সবচেয়ে বেশি কড়াকাড়ি দেখিয়েছে চীন। দেশটিতে ২০২২ সালের শেষ দিক পর্যন্তও লকডাউন আরোপ করতে দেখা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই, গ্লাভসসহ ভারী পোশাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

কিন্তু ২০২২ সালের শেষ দিকে লকডাউনে আবদ্ধ একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হলে করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ। এরপর চীনের সরকার কঠোর সব বিধি স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

বর্তমানে দেশটির সরকার করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনো খবর আর প্রকাশ করছে না। ফলে দেশটিতে এখন করোনার প্রভাব কেমন রয়েছে সে বিষয়ে কারও সুষ্পষ্ট কোনো ধারণা নেই।