Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলনের ইস্যু না থাকলে বিএনপি ভারত বিরোধিতাকেই ইস্যু বানায়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চায়, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। আসলে তারা দিশেহারা হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের চারপাশে প্রায় ভারত। একপাশে কেবল মিয়ানমার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদেরই ক্ষতি করেছে সবচেয়ে বেশি। এখন ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

রিজভীর চাদর পোড়ানো পাগলামি মন্তব্য করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ভারতীয় এজেন্ট বলে সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে বিএনপি। আন্দোলনে পরাজিত হয়ে, নির্বাচনে না এসে যে ভুল বিএনপি করেছে তার জন্য এসব করছে। বিএনপির রাজনীতি এখন এলোমেলো। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে যা খুশি বলছে ও করছে। বিএনপি আসলে কাকে খুশি করতে চাইছে-সেই প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি কতটা দেউলিয়া আর বেপরোয়া হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বর্জন করে সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এটা পাগলামি আর অবাস্তব কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়। ভারতের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক নষ্ট করা বা তাদের মানসিক সমস্যা।

বিএনপিকে হাঁটু ভাঙা পার্টি উল্লেখ করে কাদের আরও বলেন, বিএনপির বয়কটের ডাকে সাড়া দেবে না জনগণ। তাদের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ মোটেও চিন্তিত নয়।

নির্বাচনে না আসার ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে ‘উদোর পিণ্ডি ভুধোর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির প্রায় সব নেতারাই জেল থেকে বেরিয়েছেন, তারপরও তাদের বিবৃতির শেষ নেই।

জাতীয় স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে এদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করার সুবিধা আদায় করা সম্ভব। ভারতীয় পণ্য যারা বয়কট করবে বাংলাদেশের মানুষও তাদের কেমন বয়কট করবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বৈরিতার কারণে বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন বিএনপির এমন আচরণে ভারতের সঙ্গে এদেশের সম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা নিরসনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ছিটমহল এমন জটিল বিষয় এর সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণ ভাবে এমন নজির খুব কম। কিন্তু এখানে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে। সম্পর্ক ভাল থাকলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ছিটমহল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কাজটা তো করছি।

সম্পর্ক ভাল থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনো সমাধান হয়নি। কিন্তু সম্পর্ক ভাল থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভাল থাকলে সমাধান সম্ভব এটা এর মধ্যে প্রমাণ হয়েছে।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করব। মহানগর উত্তর দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের যে জেনোসাইড এর আন্তর্জাতিক স্মীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাহিরে করব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল তখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের একটা বিষয় ছিলো, সেটা হলো ভারত ভীতি। তখনো আওয়ামী লীগ মানেই হচ্ছে ভারতের এজেন্ট। সেটা পাকিস্তানের আইয়ুব, ইয়াহইয়ার যেমন অপ্রপচার ছিল তেমন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা সবসময় ইন্ডিয়ার এজেন্ট বলে আমাদের চিহ্নিত করতে চেয়েছে। ভারত বিরোধীতা বলে জনমতকে সাম্প্রদায়িকভাবে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল। পাকিস্তান আমল থেকে যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির এটা একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেটা মাঝে মধ্যে চলে। যখন কোন ইস্যু থাকে না আন্দোলনের তখন ভারত বিরোধীতায় ইস্যু।

ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেবে না এটা তো বলেনি, ভুটানের রাজা আসছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পারিবারিক একটা সম্পর্ক আছে। উনি আসবেন। ভারত অসম্মত হবে আমরা এটা মনে করছি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থে একটা অনুরোধ জানালে সেটা ফিরিয়ে দিবেন এটা মনে হয় না।

অন্য আরেক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র বুঝি না, আমি বুঝি আমার জাতীয় স্বার্থ। ভারতের সাথে আমি অতটুকু বন্ধুত্ব রাখবো যতক্ষনআমার জনগণের স্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ নিশ্চয়তা পাবে। এরকম বিষয়গুলোতে ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবেই। প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া করে কারো কোন লাভ নেই। ভারত বিশাল দেশ, অনেক কিছুতে তারা আমাদের চেয়ে উন্নত দেশ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩৫তম দেশ, আর তারা ৫ম। এরপরে তারা নিজেদের ৪র্থ বলে দাবি করে। তারা উন্নত দেশ। কাজেই তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল রেখেই আলাপ আলোচনা করে সুবিধা আদায় করা সম্ভব। যেটা আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

 

আবহাওয়া

ডিসেম্বরে বিয়ে করছেন মধুমিতা

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলনের ইস্যু না থাকলে বিএনপি ভারত বিরোধিতাকেই ইস্যু বানায়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চায়, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। আসলে তারা দিশেহারা হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্ব তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের চারপাশে প্রায় ভারত। একপাশে কেবল মিয়ানমার। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদেরই ক্ষতি করেছে সবচেয়ে বেশি। এখন ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো।

রিজভীর চাদর পোড়ানো পাগলামি মন্তব্য করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ভারতীয় এজেন্ট বলে সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে বিএনপি। আন্দোলনে পরাজিত হয়ে, নির্বাচনে না এসে যে ভুল বিএনপি করেছে তার জন্য এসব করছে। বিএনপির রাজনীতি এখন এলোমেলো। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা হয়ে যা খুশি বলছে ও করছে। বিএনপি আসলে কাকে খুশি করতে চাইছে-সেই প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি কতটা দেউলিয়া আর বেপরোয়া হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বর্জন করে সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এটা পাগলামি আর অবাস্তব কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়। ভারতের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক নষ্ট করা বা তাদের মানসিক সমস্যা।

বিএনপিকে হাঁটু ভাঙা পার্টি উল্লেখ করে কাদের আরও বলেন, বিএনপির বয়কটের ডাকে সাড়া দেবে না জনগণ। তাদের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ মোটেও চিন্তিত নয়।

নির্বাচনে না আসার ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে ‘উদোর পিণ্ডি ভুধোর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির প্রায় সব নেতারাই জেল থেকে বেরিয়েছেন, তারপরও তাদের বিবৃতির শেষ নেই।

জাতীয় স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে এদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করার সুবিধা আদায় করা সম্ভব। ভারতীয় পণ্য যারা বয়কট করবে বাংলাদেশের মানুষও তাদের কেমন বয়কট করবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতের সঙ্গে বৈরিতার কারণে বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন বিএনপির এমন আচরণে ভারতের সঙ্গে এদেশের সম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সাথে বৈরি সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা নিরসনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। ছিটমহল এমন জটিল বিষয় এর সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণ ভাবে এমন নজির খুব কম। কিন্তু এখানে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হয়েছে। সম্পর্ক ভাল থাকলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ছিটমহল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কাজটা তো করছি।

সম্পর্ক ভাল থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনো সমাধান হয়নি। কিন্তু সম্পর্ক ভাল থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভাল থাকলে সমাধান সম্ভব এটা এর মধ্যে প্রমাণ হয়েছে।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিষয়ে তিনি বলেন, ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করব। মহানগর উত্তর দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের যে জেনোসাইড এর আন্তর্জাতিক স্মীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাহিরে করব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল তখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের একটা বিষয় ছিলো, সেটা হলো ভারত ভীতি। তখনো আওয়ামী লীগ মানেই হচ্ছে ভারতের এজেন্ট। সেটা পাকিস্তানের আইয়ুব, ইয়াহইয়ার যেমন অপ্রপচার ছিল তেমন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা সবসময় ইন্ডিয়ার এজেন্ট বলে আমাদের চিহ্নিত করতে চেয়েছে। ভারত বিরোধীতা বলে জনমতকে সাম্প্রদায়িকভাবে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল। পাকিস্তান আমল থেকে যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির এটা একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। যেটা মাঝে মধ্যে চলে। যখন কোন ইস্যু থাকে না আন্দোলনের তখন ভারত বিরোধীতায় ইস্যু।

ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আনার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশ কে সহযোগিতা করবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেবে না এটা তো বলেনি, ভুটানের রাজা আসছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পারিবারিক একটা সম্পর্ক আছে। উনি আসবেন। ভারত অসম্মত হবে আমরা এটা মনে করছি না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থে একটা অনুরোধ জানালে সেটা ফিরিয়ে দিবেন এটা মনে হয় না।

অন্য আরেক প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি ষড়যন্ত্র বুঝি না, আমি বুঝি আমার জাতীয় স্বার্থ। ভারতের সাথে আমি অতটুকু বন্ধুত্ব রাখবো যতক্ষনআমার জনগণের স্বার্থ, জাতীয় স্বার্থ নিশ্চয়তা পাবে। এরকম বিষয়গুলোতে ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবেই। প্রতিবেশীর সাথে ঝগড়া করে কারো কোন লাভ নেই। ভারত বিশাল দেশ, অনেক কিছুতে তারা আমাদের চেয়ে উন্নত দেশ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩৫তম দেশ, আর তারা ৫ম। এরপরে তারা নিজেদের ৪র্থ বলে দাবি করে। তারা উন্নত দেশ। কাজেই তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল রেখেই আলাপ আলোচনা করে সুবিধা আদায় করা সম্ভব। যেটা আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপ দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।