Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিজ থাকলেও নেই কোনো এপ্রোচ সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের মরাচেলা বালি নদীর উপর নির্মিত সেতুর এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ না থাকায় লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর কর্তৃক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২ সালে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের মরাচেলা বালি নদীর উপর ৭২ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন।

বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কটি দিয়ে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশতলা, চৌধুরী পাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাশতলা, পেকপাড়া, ঝুমগাও, কলাউড়া, ডালিয়া, কুশিউড়া, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতি সৌধ, হকনগর বাজার, চৌধুরীপাড়া বাজার, কলাউড়া মার্কেট, বাংলাবাজার, বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলাউড়া ফাজিল মাদরাসার ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামের ছাত্রছাত্রী, লাখো মানুষ ও যান চলাচল করে থাকে।

উপজেলার সদরে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক ব্যবস্থা এটি। সেতুর দুইপাশে এপ্রোচ সড়ক বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজটির এপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ব্রিজটির দুই পার্শের এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সিএনজি চালক আনোয়ার বলেন, সেতু থাকতেও আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক বালি দিয়ে তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতে বালি নদীতে চলে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি করে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় সিএনজি দিয়ে যাতায়াত কষ্ট হচ্ছে।

বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান শেখ আবুল হোছাইন বলেন, বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ সময়ের দাবি। খুব শ্রীগ্রই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মনছুরুল হক জানান, এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ করার লক্ষে মাপযোগ করে পাঠানো হয়েছে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইরান থেকে দেশে ফিরেছেন আরো ৩০ বাংলাদেশি

ব্রিজ থাকলেও নেই কোনো এপ্রোচ সড়ক, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ০১:০৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের মরাচেলা বালি নদীর উপর নির্মিত সেতুর এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ না থাকায় লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর কর্তৃক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২ সালে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের মরাচেলা বালি নদীর উপর ৭২ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন।

বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কটি দিয়ে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশতলা, চৌধুরী পাড়া, মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাশতলা, পেকপাড়া, ঝুমগাও, কলাউড়া, ডালিয়া, কুশিউড়া, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতি সৌধ, হকনগর বাজার, চৌধুরীপাড়া বাজার, কলাউড়া মার্কেট, বাংলাবাজার, বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলাউড়া ফাজিল মাদরাসার ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামের ছাত্রছাত্রী, লাখো মানুষ ও যান চলাচল করে থাকে।

উপজেলার সদরে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক ব্যবস্থা এটি। সেতুর দুইপাশে এপ্রোচ সড়ক বালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজটির এপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ব্রিজটির দুই পার্শের এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সিএনজি চালক আনোয়ার বলেন, সেতু থাকতেও আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক বালি দিয়ে তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতে বালি নদীতে চলে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি করে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় সিএনজি দিয়ে যাতায়াত কষ্ট হচ্ছে।

বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান শেখ আবুল হোছাইন বলেন, বাংলাবাজার-বাশতলা সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ সময়ের দাবি। খুব শ্রীগ্রই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. মনছুরুল হক জানান, এপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ করার লক্ষে মাপযোগ করে পাঠানো হয়েছে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন।