ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিসিক শিল্পনগরীতে একটি কোম্পানির বিস্কুটের গুঁড়াসহ পরিত্যক্ত মালামাল কেনা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও ধানের গোলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর ডেকো ফুড নামে একটি কোম্পানির বিস্কুটের গুঁড়াসহ পরিত্যক্ত মালামাল নিলামে বিক্রি করার কথা। তা কিনতে যান বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন মিয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির খন্দকার। নিলামে ডাক পান হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির খন্দকার। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তর্কে জড়ান।
কিছুক্ষণ পর এর জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রাম ও বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের লোকজন একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও ধানের গোলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাড়িয়া গ্রামের খুরশিদ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন না ধরায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন মিয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, একটি বিস্কিট কোম্পানির ডাস্ট মালামাল কেনা নিয়ে বিএনপির দুই নেতার পক্ষ নিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।