Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যারিস্টার সুমন ২ দিনের রিমান্ডে

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • ২১১ জন দেখেছেন

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট এবং মাধবপুর উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্যারিষ্টার সুমন ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল। তার নির্দেশেই শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যার উদ্দেশে হামলা হয়।

আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী বলেন, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য তাকে এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ও সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য আইনজীবিদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানান তিনি। পরে উভয় পক্ষের যুক্ত শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সুমনের সমর্থকরা। বেলা ১টার দিকে সুমনকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হলে আদালতের সামনে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে নেওয়া হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে তার ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় জনতা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন।

অন্যদিকে এজলাসের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে সুমনের সমর্থকরা। একপর্যায়ে সুমনের সমর্থকদের ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় পিটুনির শিকার হন কয়েকজন। পরে আইনজীবি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবী ও স্থানীয়রা। পরে বেলা দেড়টার দিকে সুমনকে আদালত থেকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িকে ধাওয়া করে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোল চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।

এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের রিমান্ড শুনানির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবেক এ সংসদ সদস্যকে বুধবার হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যারিস্টার সুমনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এ মামলায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

ব্যারিস্টার সুমন ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট এবং মাধবপুর উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্যারিষ্টার সুমন ফ্যাসিবাদের দোসর ছিল। তার নির্দেশেই শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যার উদ্দেশে হামলা হয়।

আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী বলেন, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য তাকে এই মামলায় ফাসানো হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ও সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য আইনজীবিদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানান তিনি। পরে উভয় পক্ষের যুক্ত শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও সুমনের সমর্থকরা। বেলা ১টার দিকে সুমনকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হলে আদালতের সামনে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে নেওয়া হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ করে তার ফাঁসি দাবি করেন। এ সময় জনতা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন।

অন্যদিকে এজলাসের সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে সুমনের সমর্থকরা। একপর্যায়ে সুমনের সমর্থকদের ধাওয়া দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় পিটুনির শিকার হন কয়েকজন। পরে আইনজীবি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এদিকে, আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইনজীবী ও স্থানীয়রা। পরে বেলা দেড়টার দিকে সুমনকে আদালত থেকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িকে ধাওয়া করে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোল চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।

এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের রিমান্ড শুনানির বিষয়ে বৃহস্পতিবার ধার্য করা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবেক এ সংসদ সদস্যকে বুধবার হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যারিস্টার সুমনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এ মামলায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।