Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার প্রধান আসামি মহিনের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (২০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রথম দফায় গত ১০ জুলাই পাঁচ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১৫ জুলাই মহিনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

প্রকাশ্য সড়কে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার এ মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন-টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু।

এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই সজীব আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব বেপারী কারাগারে আটক রয়েছে। অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছেন।

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে।

এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে এমন ভয়ংকরভাবে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, তা পরিচিতজনদের ধারণারও বাইরে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার প্রধান আসামি মহিনের

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (২০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রথম দফায় গত ১০ জুলাই পাঁচ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় ১৫ জুলাই মহিনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

প্রকাশ্য সড়কে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার এ মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন-টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু।

এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই সজীব আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব বেপারী কারাগারে আটক রয়েছে। অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছেন।

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেইটের সামনে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরনো তারের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে।

এরপর এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ওই হত্যাকাণ্ডে যাদের অংশ নিতে দেখা গেছে এবং নেপথ্যে যাদের নাম আসছে, তারা সবাই পূর্ব পরিচিত। একসময় তাদের কয়েকজন সোহাগের ব্যবসার সহযোগী ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধে এমন ভয়ংকরভাবে কাউকে হত্যা করা হতে পারে, তা পরিচিতজনদের ধারণারও বাইরে।