ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলা শাখার মুখপাত্র কাজী জেবা তাহসিন পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বরাবর এ আবেদন করেন তিনি।
রোববার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ করেন জেবা।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করে লেখেন, ‘আমি কাজী জেবা তাহসিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্বরত ছিলাম এবং এই পথচলাটা আমার জীবনের এক মূল্যবান অধ্যায়। তবে কিছু মাস আগে বৈছাআ সারা দেশের কমিটি স্থগিত করা হয় কিন্তু আজকে পুনরায় আবার এ কমিটি সচল করার পর আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে বৈছাআ ফরিদপুর জেলার মুখপাত্র পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।
তিনি আরও লেখেন, এ পদ থেকে সরে গেলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি আমার ভালোবাসা, বিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা আগের মতোই অটুট থাকবে। আমি সবসময় এই আন্দোলনের পথে থাকব, হয়তো ভিন্ন ভূমিকায়, কিন্তু একই লক্ষ্য নিয়ে— বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার স্বপ্নে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলেন কাজী জেবা তাহসিন বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাসের বিষয়টি সঠিক। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছি।
নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই অব্যাহতির আবেদন নাকি অন্য কিছু, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম, কিন্তু চাঁদাবাজির অভিযোগে আমাদের এ সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়, দীর্ঘ সময় পর আবার কার্যক্রম চালু করা হলো, কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তারাই তো রয়েছেন এ সংগঠনে। তারা যে আবার চাঁদাবাজি করবে না এ কথা বলা যায় না।
জেবা তাহসিন বলেন, এ ছাড়া ৫ তারিখের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি, আগের মতোই প্রশাসনে অনিয়ম, বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম চলমান রয়েছে, যেটা আসলেই কাম্য নয়, তাই আমি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর একই অভিযোগে ‘জুলাই গেজেট’ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের প্রথম আহত জুলাই যোদ্ধা আবরার নাদিম ইতু।
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি 























