Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেশি লাফালাফি করলে ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশি লাফালাফি করলে ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে তারা নাকি রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু মির্জা ফখরুল, কিছু মঈন খান, কিছু মির্জা আব্বাস এবং কিছু রিজভীর মাথায় দিয়ে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম দিয়ে ঠান্ডা করে দেব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন! ঢাকায় এলে বিএনপিকেই অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চলবে আন্দোলন। ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান আসছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানে মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়.. যে লাফাবে মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল এবং জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ফাউল করলে লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দেওয়া হবে।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। কবে আসবেন, আমাদের তারিখটা বলুন, আমরা প্রস্তুত আছি।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না, তবু মানুষকে খাওয়াব। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

আবহাওয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

বেশি লাফালাফি করলে ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশি লাফালাফি করলে ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। যারা রূপপুর বন্ধ করতে চায়, তাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে তারা নাকি রূপপুর পারণমাণবিক কেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। দুই চালান ইউরেনিয়াম এসেছে। বেশি লাফালাফি করলে কিছু মির্জা ফখরুল, কিছু মঈন খান, কিছু মির্জা আব্বাস এবং কিছু রিজভীর মাথায় দিয়ে দেব। এখন ডান্ডা মেরে নয়, ইউরেনিয়াম দিয়ে ঠান্ডা করে দেব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা অচল করে দেবেন! ঢাকায় এলে বিএনপিকেই অচল করে দেওয়া হবে। ঢাকায় এলে তারা নিজেরাই অচল হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চলবে আন্দোলন। ফখরুল বলে ঢাকা অচল করে দেবে অক্টোবর মাসে। ঢাকা অচল করতে এলে ঢাকাবাসী বিএনপিকে অচল করে দেবে। অচল করতে এলে নিজেরা অচল হয়ে যাবে। ইউরেনিয়ামের দুটি চালান এসে গেছে। পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। বাংলাদেশে সাংঘাতিক আলো ঝলমলো পরিবেশ হবে। এতে ফখরুলের অন্তর্জ্বালা, মঈনুদ্দিন খানের (মঈন খান) অন্তর্জ্বালা। রূপপুর বন্ধ করে দেবে বলেছে, কে বলেছে? আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান আসছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানে মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়.. যে লাফাবে মাথায় ইউরিনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করবো না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারিতে ভোট। নভেম্বরে কোয়ার্টার ফাইনাল, ডিসেম্বরে সেমিফাইনাল এবং জানুয়ারিতে ফাইনাল খেলা হবে। খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে। খেলা হবে সারা বাংলায়, সারা ঢাকায়, সারা চট্টগ্রাম, বরিশালে, রাজশাহীতে, সিলেটে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ফাউল করলে লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দেওয়া হবে।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা হবে। কবে হবে সেই তারিখ দেন। লাফালাফি, নাচানাচি, বাড়াবাড়ি বন্ধ করেন। ভালো হবে না। বেশি লাফালাফি করলে অবস্থা খারাপ হবে। কবে আসবেন, আমাদের তারিখটা বলুন, আমরা প্রস্তুত আছি।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু থামছে? মেয়র সাহেব নকল ওষুধ আনিয়েন না, ভালো ওষুধ আনেন। মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আপনি দৌড়াদৌড়ি করেন ভালো। ছোটাছুটি করেন ঠিক আছে। কিন্তু ঠিকমতো মশাকে আঘাত করেন। মানুষ বড় কষ্টে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মরেছে? শেখ হাসিনা মানুষের জন্য আছেন। কাউকে না খেয়ে মরতে দেবেন না। আমি খাবো না, তবু মানুষকে খাওয়াব। মানুষ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বাঁচবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।