Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেয়াদব হয়ে থাকতে চান পরীমণি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনয় নিয়ে এখন তুমুল ব্যস্ত হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। বর্তমানে কাজ করছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘ফেলু বক্সী’তে। এটি নির্মাণ করছেন ওপর বাংলার নির্মাতা দেবরাজ সিনহা। এতে পরীর সঙ্গে সোহম চক্রবর্তীকে দেখা যাবে। এর মধ্যদিয়ে টালিউডে অভিষেক হতে চলেছে পরীমণির।

এ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। আলাপচারিতায় তিনি জানান, লোকে তাকে ‘বেয়াদব’ তকমা দিয়েছেন। আর তিনিও বেয়াদব হয়ে থাকতে চান।

পরীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, বাংলাদেশের সমাজ রক্ষণশীল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাউকে পরোয়া না করার সাহস কোথায় পান? জবাবে বিশ্বসুন্দরী’খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবাই কারো না কারো কথা শুনে কাজ করে। কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে তো একটা বস্তু আছে। তাই বলে কারো ক্ষতি করে কিছু করতে চাই না। আমাকে ঘোমটা দিয়ে চলতে হবে কিংবা মেয়ে বলে কোনো কাজ করতে পারব না। এ ধরনের চাপিয়ে দেওয়া জিনিস ছোটবেলা থেকে মেনে নিতে পারিনি। আমি যখন এগুলো নিয়ে কথা বলি, লোকে “বেয়াদব” বলে। আমি আসলে এ রকম বেয়াদব হতে চাই, এ রকমই বেয়াদব থাকতে চাই। যদি নিজের মতো করে বাঁচতে চাইলে বেয়াদব হতে হয়, আমার অসুবিধে নেই।

পরীমণি বিতর্কিত, না কি সমালোচিত? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে লোকে আমাকে প্রচণ্ড ভুল বোঝে। আমাকে নিয়ে যা কিছু লেখা হয়, সেসব দেখে নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই- এটা কোন পরীমণি! আমার সম্পর্কে আমি এত উদ্ভট তথ্য পাই, ভাবি, এটা কি আমাকে নিয়ে বলছে?

তাকে নিয়ে কোনো ভ্রান্ত ধারণা আছে কি না জানতে চাইলে পরী বলেন, আমাকে নিয়ে যে ভুল ধারণা আছে, সেটা হলো, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকে বলে, পরীমণির অনেক প্রেমিক, অনেকগুলো বর। কিন্তু আমি জানতে চাই, তারা কোথায়? আমি নিজেও কথা বলতে গেলে বিব্রত বোধ করি। আগে একটা ধারণা ছিল, বিতর্কিত কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে না। কিন্তু আমার মনে হয়, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে, সে ব্যাপারে বেশি কথা বলা প্রয়োজন। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নেব।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বুবলীর ওপর রেগে যাওয়া বিষয়টিও টানা হয়। উত্তরে পরীমণি বলেন, না, আমি রেগে যাইনি। আসলে প্রতিটা মানুষের আবেগ প্রকাশের ধরন আলাদা। বিতর্কের সূত্রপাত্র জন্মদিনের ভিডিও নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার আবেগ আচমকা আসে না। আমার ধারণা, তিনি অন্য ভাবে কিছু করতে পারতেন। তার নিশ্চয়ই সুন্দর একটা জার্নি আছে কিংবা তিনি বলতে পারতেন- এই ধরনটা সোজা লেগেছে, সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করেছেন। সেটা না করে আমার গলা টিপে ধরার মতো অবস্থা, কেন আমি বললাম! মানুষজন আমাকে ট্যাগ করার পর আমি জানতে পেরেছি। তখন আমি মুখ খুলতেই তেড়ে এলেন আমার দিকে। শুনেছি, তিনি শিক্ষিত! শিক্ষিত মানুষ হয়ে একটা কাণ্ড করে বসেছ, আবার সেটার জন্য লড়াইও করছ! এটা শোভনীয় নয়।’

ছেলের জন্য কী শরীফুল রাজকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনো দিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে “ডেড”।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খানাখন্দে ভরা সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক, তিন উপজেলার যাত্রীদের দুর্ভোগ

বেয়াদব হয়ে থাকতে চান পরীমণি

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনয় নিয়ে এখন তুমুল ব্যস্ত হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি। বর্তমানে কাজ করছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমা ‘ফেলু বক্সী’তে। এটি নির্মাণ করছেন ওপর বাংলার নির্মাতা দেবরাজ সিনহা। এতে পরীর সঙ্গে সোহম চক্রবর্তীকে দেখা যাবে। এর মধ্যদিয়ে টালিউডে অভিষেক হতে চলেছে পরীমণির।

এ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। আলাপচারিতায় তিনি জানান, লোকে তাকে ‘বেয়াদব’ তকমা দিয়েছেন। আর তিনিও বেয়াদব হয়ে থাকতে চান।

পরীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, বাংলাদেশের সমাজ রক্ষণশীল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কাউকে পরোয়া না করার সাহস কোথায় পান? জবাবে বিশ্বসুন্দরী’খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সবাই কারো না কারো কথা শুনে কাজ করে। কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে তো একটা বস্তু আছে। তাই বলে কারো ক্ষতি করে কিছু করতে চাই না। আমাকে ঘোমটা দিয়ে চলতে হবে কিংবা মেয়ে বলে কোনো কাজ করতে পারব না। এ ধরনের চাপিয়ে দেওয়া জিনিস ছোটবেলা থেকে মেনে নিতে পারিনি। আমি যখন এগুলো নিয়ে কথা বলি, লোকে “বেয়াদব” বলে। আমি আসলে এ রকম বেয়াদব হতে চাই, এ রকমই বেয়াদব থাকতে চাই। যদি নিজের মতো করে বাঁচতে চাইলে বেয়াদব হতে হয়, আমার অসুবিধে নেই।

পরীমণি বিতর্কিত, না কি সমালোচিত? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে লোকে আমাকে প্রচণ্ড ভুল বোঝে। আমাকে নিয়ে যা কিছু লেখা হয়, সেসব দেখে নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাই- এটা কোন পরীমণি! আমার সম্পর্কে আমি এত উদ্ভট তথ্য পাই, ভাবি, এটা কি আমাকে নিয়ে বলছে?

তাকে নিয়ে কোনো ভ্রান্ত ধারণা আছে কি না জানতে চাইলে পরী বলেন, আমাকে নিয়ে যে ভুল ধারণা আছে, সেটা হলো, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকে বলে, পরীমণির অনেক প্রেমিক, অনেকগুলো বর। কিন্তু আমি জানতে চাই, তারা কোথায়? আমি নিজেও কথা বলতে গেলে বিব্রত বোধ করি। আগে একটা ধারণা ছিল, বিতর্কিত কিছু নিয়ে কথা বলা যাবে না। কিন্তু আমার মনে হয়, বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে, সে ব্যাপারে বেশি কথা বলা প্রয়োজন। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নেব।

দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বুবলীর ওপর রেগে যাওয়া বিষয়টিও টানা হয়। উত্তরে পরীমণি বলেন, না, আমি রেগে যাইনি। আসলে প্রতিটা মানুষের আবেগ প্রকাশের ধরন আলাদা। বিতর্কের সূত্রপাত্র জন্মদিনের ভিডিও নিয়ে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার আবেগ আচমকা আসে না। আমার ধারণা, তিনি অন্য ভাবে কিছু করতে পারতেন। তার নিশ্চয়ই সুন্দর একটা জার্নি আছে কিংবা তিনি বলতে পারতেন- এই ধরনটা সোজা লেগেছে, সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করেছেন। সেটা না করে আমার গলা টিপে ধরার মতো অবস্থা, কেন আমি বললাম! মানুষজন আমাকে ট্যাগ করার পর আমি জানতে পেরেছি। তখন আমি মুখ খুলতেই তেড়ে এলেন আমার দিকে। শুনেছি, তিনি শিক্ষিত! শিক্ষিত মানুষ হয়ে একটা কাণ্ড করে বসেছ, আবার সেটার জন্য লড়াইও করছ! এটা শোভনীয় নয়।’

ছেলের জন্য কী শরীফুল রাজকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘নামই মুখে আনতে চাই না। এত ঘৃণা ওর প্রতি। কোনো দিন মরে গেলেও দেখতে যাব না। যে মানুষটা বেঁচে আছে সে অন্য মানুষ, যে আমার কাছে ছিল, সে আরও আগে মরে গিয়েছিল। সেই মৃতদেহটা দেখেছি। আসলে মানুষটা আমার কাছে “ডেড”।’