Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ৪০ দিন পর লাশ পেল ৪ পরিবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৪০ দিন পর রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

মরদেহগুলো হলো রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ীর চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজবাড়ীর এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)।

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল। দেখে শনাক্ত করার পর্যায়ে ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিংয়ে দাবিদার মিলে যায়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশা জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেল। আমার বাচ্চা সারা জীবন কী বলবে? বাচ্চাটা কীভাবে মূল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে?

তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো থেকে মুক্তি চাই। সবাই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবারের কীভাবে কেটেছে তা বোঝানো যাবে না। এ রকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ৪০ দিন পর লাশ পেল ৪ পরিবার

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৪০ দিন পর রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

মরদেহগুলো হলো রাজবাড়ির আবু তালহা (২৩), পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ীর চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজবাড়ীর এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)।

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল। দেখে শনাক্ত করার পর্যায়ে ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিংয়ে দাবিদার মিলে যায়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশা জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেল। আমার বাচ্চা সারা জীবন কী বলবে? বাচ্চাটা কীভাবে মূল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে?

তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো থেকে মুক্তি চাই। সবাই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবারের কীভাবে কেটেছে তা বোঝানো যাবে না। এ রকম ঘটনার শিকার যেন কেউ না হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’