Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফিরে আসতেই হবে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরে আসতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২ জুন) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে যাক আর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই বিচার হবেই, একদিন না একদিন বেনজীরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ বিষয়ে সরকার কোন ছাড় দিবে না।’ পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নাই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। এটা কোথাও হয় না এটা কেউ দাবি করতে পারবে না।

বেনজীর ইস্যুতে কারো কোনো ব্যর্থতা থাকলে, গাফিলতি থাকলে সেটিরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলতে হলে তারেক রহমানের কথা আগে বলতে হবে। তারেক দণ্ডিত হয়ে পাচারকৃত টাকা দিয়ে বিদেশে বসে আয়েশি জীবনযাপন করছে।’

দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না, এ দাবি কেউ করতে পারে না বলে মন্তব্য করে সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয় বিএনপির আমলে। আমাদের সরকার প্রধান দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। তিনি সৎ জীবন যাপন করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত-মামলা-গ্রেপ্তার—সবকিছুর একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে। সরকার এখানে দুদককে ডিঙিয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতি বিরোধী যেসব সংস্থা আছে তাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তারও বিচার হবে।’

আওয়ামী লীগ সম্পাদক, ‘এ দেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটা দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

সরকারের সহায়তায় বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন অথরিটি গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।’

তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে বিএনপির আমলে। তারা ক্ষমতায় এলে তাদের নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দণ্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না, এই দাবি কেউ করতে পারে না। আমাদের দেশে যিনি প্রধানমন্ত্রী, সরকারপ্রধান তিনি কোনো প্রকার দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কেউ দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক- এটা বিশ্বের স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম ও সৎ জীবনযাপন করেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির প্রধান নেতাই দণ্ডিত, পলাতক তারেক রহমান চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলে নেতৃত্ব দেয় সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না। তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরপর পাঁচবার তারা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেই বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে হঠাৎ করেই ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চোরের রাজা মহারাজা হচ্ছে বিএনপি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে দেশে ফিরে আসতেই হবে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরে আসতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২ জুন) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে যাক আর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। তাই বিচার হবেই, একদিন না একদিন বেনজীরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ বিষয়ে সরকার কোন ছাড় দিবে না।’ পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নাই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। এটা কোথাও হয় না এটা কেউ দাবি করতে পারবে না।

বেনজীর ইস্যুতে কারো কোনো ব্যর্থতা থাকলে, গাফিলতি থাকলে সেটিরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলতে হলে তারেক রহমানের কথা আগে বলতে হবে। তারেক দণ্ডিত হয়ে পাচারকৃত টাকা দিয়ে বিদেশে বসে আয়েশি জীবনযাপন করছে।’

দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না, এ দাবি কেউ করতে পারে না বলে মন্তব্য করে সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির মহোৎসব শুরু হয় বিএনপির আমলে। আমাদের সরকার প্রধান দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। তিনি সৎ জীবন যাপন করেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্ত-মামলা-গ্রেপ্তার—সবকিছুর একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে। সরকার এখানে দুদককে ডিঙিয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতি বিরোধী যেসব সংস্থা আছে তাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তারও বিচার হবে।’

আওয়ামী লীগ সম্পাদক, ‘এ দেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটা দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কি সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

সরকারের সহায়তায় বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন দাবির জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন অথরিটি গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।’

তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে বিএনপির আমলে। তারা ক্ষমতায় এলে তাদের নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দণ্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না, এই দাবি কেউ করতে পারে না। আমাদের দেশে যিনি প্রধানমন্ত্রী, সরকারপ্রধান তিনি কোনো প্রকার দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কেউ দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক- এটা বিশ্বের স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম ও সৎ জীবনযাপন করেন।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির প্রধান নেতাই দণ্ডিত, পলাতক তারেক রহমান চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলে নেতৃত্ব দেয় সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না। তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরপর পাঁচবার তারা দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেই বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে হঠাৎ করেই ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চোরের রাজা মহারাজা হচ্ছে বিএনপি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।