Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর দায়িত্ব নিলেন ডিসি

সেই শিশু কোলে ডিসি

সন্ত্রাসীরা বাবা-মাসহ পরিবারের চারজনকে খুন করলেও ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছে ছয় মাসের এক শিশু। নিহত বাবা-মার পাশেই ছিল কাঁদছিল। তার কান্না শুনেই আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

সৌভাগ্যক্রমে খুনিদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া সেই ছয় মাসের শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল কলারোয়ার খলশী গ্রামের নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শিশু মারিয়ার সকল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ চারজন। তবে খুনিরা ছয় মাসের শিশুটিকে হত্যা করেনি। সৌভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়।

তিনি বলেন, মায়ের গলাকাটা লাশের পাশে কাঁদছিল শিশু মারিয়া। শিশুটির পরিবারে এখন আপনজন বলতে কেউ নেই। আত্মীয়-স্বজনও কেউ নেই। শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি আমি।

আরও পড়ুন : ধর্ষণ মামলায় দেশে প্রথম ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়

আপতত দেখভালের জন্য স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি। শিশুটির পরিবারের কোনো স্বজন শিশুটির দাবি করলে আইনগতভাবে সমাধান করা হবে। শিশুটি এখন থেকে আমার তত্বাবধানে থাকবে।

এদিকে শিশুটি দেখার জন্য বিকেলে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও শিশুখাদ্যসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে মাছের ঘের ব্যবসায়ী মো. শাহীনুর রহমান (৩৯), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৩), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (১১) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানাকে (১০) জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনকে হত্যা করলেও শিশু মারিয়াকে মায়ের মরদেহের পাশে ফেলে রেখে যায় খুনিরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর দায়িত্ব নিলেন ডিসি

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

সন্ত্রাসীরা বাবা-মাসহ পরিবারের চারজনকে খুন করলেও ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছে ছয় মাসের এক শিশু। নিহত বাবা-মার পাশেই ছিল কাঁদছিল। তার কান্না শুনেই আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

সৌভাগ্যক্রমে খুনিদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া সেই ছয় মাসের শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম মোস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল কলারোয়ার খলশী গ্রামের নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শিশু মারিয়ার সকল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ চারজন। তবে খুনিরা ছয় মাসের শিশুটিকে হত্যা করেনি। সৌভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায়।

তিনি বলেন, মায়ের গলাকাটা লাশের পাশে কাঁদছিল শিশু মারিয়া। শিশুটির পরিবারে এখন আপনজন বলতে কেউ নেই। আত্মীয়-স্বজনও কেউ নেই। শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি আমি।

আরও পড়ুন : ধর্ষণ মামলায় দেশে প্রথম ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়

আপতত দেখভালের জন্য স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি। শিশুটির পরিবারের কোনো স্বজন শিশুটির দাবি করলে আইনগতভাবে সমাধান করা হবে। শিশুটি এখন থেকে আমার তত্বাবধানে থাকবে।

এদিকে শিশুটি দেখার জন্য বিকেলে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি শিশুটির বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও শিশুখাদ্যসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে মাছের ঘের ব্যবসায়ী মো. শাহীনুর রহমান (৩৯), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৩), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (১১) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানাকে (১০) জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনকে হত্যা করলেও শিশু মারিয়াকে মায়ের মরদেহের পাশে ফেলে রেখে যায় খুনিরা।