Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ানো হবে। সংসদ সচিবালয় সূত্র এই তথ্য জানিয়েছিল।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এরপর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের শপথের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বৈঠক করে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন।

শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যদের ভেতর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আর এর মধ্য দিয়েই নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হবে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বর্তমান সরকার গঠন হয়েছিল। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, ওইদিন শপথ অনুষ্ঠানে তিন বাহনীর প্রধান, সচিব, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও মিশন প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন।

দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় রোববার (৭ জানুয়ারি)। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯টি আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। এবার ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।

২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৩টি আসন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষে চূড়ান্ত হবে : রিজওয়ানা হাসান

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার শপথ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ পড়ানো হবে। সংসদ সচিবালয় সূত্র এই তথ্য জানিয়েছিল।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এরপর বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ সদস্যদের শপথের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বৈঠক করে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন।

শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যদের ভেতর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন।

শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আর এর মধ্য দিয়েই নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হবে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৫ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বর্তমান সরকার গঠন হয়েছিল। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, ওইদিন শপথ অনুষ্ঠানে তিন বাহনীর প্রধান, সচিব, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও মিশন প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন।

দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় রোববার (৭ জানুয়ারি)। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯টি আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। এবার ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।

২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৩টি আসন।