Dhaka সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে আট দলের সঙ্গে নির্বাচন করব : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ও বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতসহ সমমনা আট দলের সঙ্গে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দলের রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে একসঙ্গে নির্বাচন করছি। আমরা সবাই গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে কাজ করব। কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করব তা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। জোটের বাইরে আমাদের আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না। ওই সব আসনে আমরা জোটের পক্ষে কাজ করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে এসেছি যে, আমরা আসন্ন এই নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা চলছিল। আমরা সারা দেশ থেকে যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের মনোনয়ন আহ্বান করেছিলাম।

‘পরবর্তীতে আরও দুইটি দলের সঙ্গে আমাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল সংস্কার প্রশ্নে। তখন আমরা বলেছিলাম যে, আমরা তিনটি দল মিলে যে সংস্কার জোট, আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু এরপরেই জুলাই বিপ্লবী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর যেই শাহাদাতবরণ এবং তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ড, এই শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশে যে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনবাদী শক্তি, তারা এখনো কার্যকর রয়েছে।’
নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, তারা এখনো চক্রান্ত করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। তারা চক্রান্ত করছে এই যে সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সেটাকে ব্যাহত করার জন্য। এবং তারা চক্রান্ত করছে এই জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য।

সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কালকে আপনার গায়ে লাগবে, পরশুদিন আমার গায়ে লাগবে। কারণ প্রথম এবং প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে সারাদেশের তরুণরা, নাগরিকরা, শহীদ পরিবার, আহতযোদ্ধা, তাদের।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছি যে, আমাদের এই মুহূর্তে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য, প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে, সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই আমরা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের যে সমমনা আট দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেই নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং এই সমমনা আট দলের সঙ্গে একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয়টা হচ্ছে, এই নির্বাচনী সমঝোতা একদিকে যেমন নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য, অন্যদিকে আমাদের যেই এনসিপি প্রথম থেকেই সংস্কার, বিচার প্রশ্নে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম, সেই সংস্কার, বিচার এবং আধিপত্যবাদবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী—এই বিষয়গুলোতে আমাদের ন্যূনতম কর্মসূচিও থাকবে। রাজনৈতিক জায়গায় আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এই সংকটগুলো রয়েছে, যেখান থেকে এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে, জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যেই আমাদের আকাঙ্ক্ষা সেটা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, এজন্য আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি।

নাহিদ ইসলাম জানান, আগামীকাল জোটের প্রার্থীর বিষয়টা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে এবং সমঝোতায় আমাদের যেই প্রার্থী তারাই নমিনেশন ফর্ম জমা দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশ নেব এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে এবং যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে নাকি সেখানে অন্য যারা প্রার্থী থাকবেন এই সমঝোতার, তাদের সহায়তা করবেন, তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবেন।

মধ্যম পন্থার রাজনীতি করা এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি তার অবস্থানেই আছে। এনসিপির সাথে একটা… আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্য করেছি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এবং যেটা মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই যাত্রাটা থাকবে। কিন্তু এনসিপি তার লক্ষ্য আদর্শ অনুযায়ী কাজ করবে, অন্য দলগুলো তার লক্ষ্য আদর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটে যাওয়ায় এনসিপিতে কোনো ভাঙন দেখা দিবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কিনা, দলে থাকবেন কিনা, এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা মনে করি যে, আমরা সারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির যারা নেতাকর্মী রয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন এবং তার কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই এই সিদ্ধান্তে ঐকমত্য রয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের এই লড়াই, আমাদের এই পথচলাটা দীর্ঘমেয়াদী। যদি পুরনো দলগুলো আমাদের এই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় যোগ দেয়, তারা সংহতি এবং সম্মতি প্রকাশ করে, আমরাও সেটার সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করব।

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশটা তো আমরা সবাইকে মিলিয়েই গড়তে চাই। ফলে আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে যদি সবাই একমত হয়… আমরা তো এটা বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছি, আমরা জামায়াতকেও আহ্বান জানিয়েছি যে গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের লক্ষ্য-কর্মসূচি হতে হবে গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে। ঐক্যমত কমিশনে সেটার জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে আট দলের সঙ্গে নির্বাচন করব : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য ও বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতসহ সমমনা আট দলের সঙ্গে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে দলের রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে একসঙ্গে নির্বাচন করছি। আমরা সবাই গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে কাজ করব। কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করব তা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। জোটের বাইরে আমাদের আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না। ওই সব আসনে আমরা জোটের পক্ষে কাজ করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে এসেছি যে, আমরা আসন্ন এই নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে চাই এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা চলছিল। আমরা সারা দেশ থেকে যারা প্রার্থী হতে চায় তাদের মনোনয়ন আহ্বান করেছিলাম।

‘পরবর্তীতে আরও দুইটি দলের সঙ্গে আমাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল সংস্কার প্রশ্নে। তখন আমরা বলেছিলাম যে, আমরা তিনটি দল মিলে যে সংস্কার জোট, আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশ নেব। কিন্তু এরপরেই জুলাই বিপ্লবী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর যেই শাহাদাতবরণ এবং তাকে প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ড, এই শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশে যে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনবাদী শক্তি, তারা এখনো কার্যকর রয়েছে।’
নাহিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যাদের আমরা পরাজিত করেছিলাম, তারা এখনো চক্রান্ত করছে নির্বাচন বানচাল করার জন্য। তারা চক্রান্ত করছে এই যে সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সেটাকে ব্যাহত করার জন্য। এবং তারা চক্রান্ত করছে এই জুলাই প্রজন্মকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য।

সেদিন ওসমান হাদির গায়ে গুলি লেগেছে, কালকে আপনার গায়ে লাগবে, পরশুদিন আমার গায়ে লাগবে। কারণ প্রথম এবং প্রধান টার্গেট করা হচ্ছে এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে সারাদেশের তরুণরা, নাগরিকরা, শহীদ পরিবার, আহতযোদ্ধা, তাদের।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছি যে, আমাদের এই মুহূর্তে এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য, প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে, সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই আমরা জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের যে সমমনা আট দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের যে নির্বাচনী সমঝোতা, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেই নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং এই সমমনা আট দলের সঙ্গে একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয়টা হচ্ছে, এই নির্বাচনী সমঝোতা একদিকে যেমন নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য, অন্যদিকে আমাদের যেই এনসিপি প্রথম থেকেই সংস্কার, বিচার প্রশ্নে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম, সেই সংস্কার, বিচার এবং আধিপত্যবাদবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী—এই বিষয়গুলোতে আমাদের ন্যূনতম কর্মসূচিও থাকবে। রাজনৈতিক জায়গায় আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের এই সংকটগুলো রয়েছে, যেখান থেকে এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে, জুলাই প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যেই আমাদের আকাঙ্ক্ষা সেটা যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, এজন্য আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্যের জায়গায় পৌঁছেছি।

নাহিদ ইসলাম জানান, আগামীকাল জোটের প্রার্থীর বিষয়টা চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে এবং সমঝোতায় আমাদের যেই প্রার্থী তারাই নমিনেশন ফর্ম জমা দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশ নেব এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে এবং যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে নাকি সেখানে অন্য যারা প্রার্থী থাকবেন এই সমঝোতার, তাদের সহায়তা করবেন, তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবেন।

মধ্যম পন্থার রাজনীতি করা এনসিপি জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি তার অবস্থানেই আছে। এনসিপির সাথে একটা… আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্য করেছি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এবং যেটা মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই যাত্রাটা থাকবে। কিন্তু এনসিপি তার লক্ষ্য আদর্শ অনুযায়ী কাজ করবে, অন্য দলগুলো তার লক্ষ্য আদর্শ অনুযায়ী কাজ করবে।

জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটে যাওয়ায় এনসিপিতে কোনো ভাঙন দেখা দিবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। যেকোনো বিষয়ে মতামত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেটো থাকতে পারে, বিরোধিতা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তিনি নির্বাচন করবেন কিনা, দলে থাকবেন কিনা, এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা মনে করি যে, আমরা সারা বাংলাদেশ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির যারা নেতাকর্মী রয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন এবং তার কেন্দ্রীয় কমিটির সবাই এই সিদ্ধান্তে ঐকমত্য রয়েছেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের এই লড়াই, আমাদের এই পথচলাটা দীর্ঘমেয়াদী। যদি পুরনো দলগুলো আমাদের এই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় যোগ দেয়, তারা সংহতি এবং সম্মতি প্রকাশ করে, আমরাও সেটার সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করব।

তিনি বলেন, এই বাংলাদেশটা তো আমরা সবাইকে মিলিয়েই গড়তে চাই। ফলে আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে যদি সবাই একমত হয়… আমরা তো এটা বিএনপিকে আহ্বান জানিয়েছি, আমরা জামায়াতকেও আহ্বান জানিয়েছি যে গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের লক্ষ্য-কর্মসূচি হতে হবে গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে। ঐক্যমত কমিশনে সেটার জন্য আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু প্রমুখ।