Dhaka শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে সরবরাহ সংকট, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কাঁচাবাজারে গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি খুচরা বাজারে পড়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে গিয়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত থেকে সবজি তোলা ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে, ফলে দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছেএ

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার চড়া। সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে বেগুন প্রকারভেদে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, বরবটি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ঝিঙা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে করলা দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১৪০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনেপাতা ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মুলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ২৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক ২ আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগেও ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে সরবরাহ বাড়লেও গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৩০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ৯০০ টাকা ও ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক কেজি শিং চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকায় ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে আদার দাম চড়া দেখা গেছে। দেশি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২৬০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে এখনও কমেনি চালের দাম। মাস খানেক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। বেশিরভাগ চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৃষ্টিতে সরবরাহ সংকট, নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর কাঁচাবাজারে গত এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি খুচরা বাজারে পড়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার করতে গিয়ে নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে ক্ষেত থেকে সবজি তোলা ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে, ফলে দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছেএ

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজার চড়া। সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে বেগুন প্রকারভেদে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, বরবটি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ঝিঙা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে করলা দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১৪০ টাকা, দেশি শসা ১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনেপাতা ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা পিস, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মুলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাক ২৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক ২ আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা ও ডাটা শাক ২ আঁটি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক আগেও ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে সরবরাহ বাড়লেও গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ইলিশ ১৬০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৩০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ৯০০ টাকা ও ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক কেজি শিং চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকায় ও পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে আদার দাম চড়া দেখা গেছে। দেশি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২৬০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে এখনও কমেনি চালের দাম। মাস খানেক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। বেশিরভাগ চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই।