Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুড়িচংয়ে লড়িবাগ সড়কের ব্রিজ যেন ‘মরণ ফাঁদ’

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল-বারেশ্বর-লড়িবাগ সড়কের নির্মিত ব্রিজ ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের ব্রিজটি উপর কয়েক গ্রামের বাসিন্দা যাতায়াত করেন। এছাড়া ব্রিজটি দিয়ে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও সিএনজি,রিক্সা, অন্যান্য গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। গত কয়েক বছর যাবৎ ব্রিজটির রেলিং ও ঢালাইয়ের একাংশ খসে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের উপর দিয়ে কোনোমতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।

এই সড়কের ব্রিজটি ওপর প্রতিদিন নিকটবর্তী লড়িবাগ, বারেশ্বর পাচোঁড়া, চড়ানল, ধারেশ্বর, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, হায়দ্রাবাদ রাজাপুর ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল, শশীদল, নাইঘর, তেতাঁভুমি, সেনেরবাজার ও বেগমাবাদসহ আশপাশের অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দা প্রতিদিন নিকটবর্তী সদর উপজেলা, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। ব্রিজের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। এতে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, যানবাহন মালামাল ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে এবং কিছুদিন পিকাআপসহ তিনটি গরু ব্রিজের ফাটল দিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়। তিনটি গরু গুরুতর হলে পরে জবাই করা হয়েছে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এই সড়কের কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে, যার কারণে যানবাহন চালাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে । স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অনেক ক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের মাঠে চড়ানো গবাদি পশুর দলকে পারাপার করতে গিয়ে ব্রিজের ভাঙা অংশ পশুর দল আচ করতে না পেড়ে গর্তে পড়ে গবাদি পশু ও মালিকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। সরকার দেশের উন্নয়নে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। যা নিরপেক্ষতার বিচারে সবার দৃষ্টিনন্দন হিসেবে পরিগনিত হয়ে আছে। অথচ পাশের রাজাপুর রেল স্টেশনের উত্তর পাশ দিয়ে ঘেঁষা ভাঙা ব্রিজটির মেরামত ও উন্নয়নে কোন ভুমিকা নেই বললেই চলে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহাম্মদ অক্ষর জানান, ব্রিজটি কাজের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সয়েল টেস্ট ও সম্পন্ন করেছে। যদি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কাজটি করেতে না পারে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও এর সাথে আলোচনা করে বিধিমোতাবেক কাজটি অচিরেই সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক উক্ত ব্রিজে স্টিলের পাত বসানো হয়েছিল কিন্ত রাতের আধারে সেই স্টিলের পাত কে বা করা চুরি করে নিয়ে যায়। তাই এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন ও স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বুড়িচংয়ে লড়িবাগ সড়কের ব্রিজ যেন ‘মরণ ফাঁদ’

প্রকাশের সময় : ০৪:৫০:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল-বারেশ্বর-লড়িবাগ সড়কের নির্মিত ব্রিজ ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের ব্রিজটি উপর কয়েক গ্রামের বাসিন্দা যাতায়াত করেন। এছাড়া ব্রিজটি দিয়ে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও সিএনজি,রিক্সা, অন্যান্য গাড়ি যাতায়াত করে থাকে। গত কয়েক বছর যাবৎ ব্রিজটির রেলিং ও ঢালাইয়ের একাংশ খসে পড়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ব্রিজের উপর দিয়ে কোনোমতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।

এই সড়কের ব্রিজটি ওপর প্রতিদিন নিকটবর্তী লড়িবাগ, বারেশ্বর পাচোঁড়া, চড়ানল, ধারেশ্বর, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, হায়দ্রাবাদ রাজাপুর ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল, শশীদল, নাইঘর, তেতাঁভুমি, সেনেরবাজার ও বেগমাবাদসহ আশপাশের অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দা প্রতিদিন নিকটবর্তী সদর উপজেলা, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। ব্রিজের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা। এতে জনগণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, যানবাহন মালামাল ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে এবং কিছুদিন পিকাআপসহ তিনটি গরু ব্রিজের ফাটল দিয়ে নিচে পড়ে আহত হয়। তিনটি গরু গুরুতর হলে পরে জবাই করা হয়েছে। এই ভাবে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এই সড়কের কাজ কচ্ছপ গতিতে চলছে, যার কারণে যানবাহন চালাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে । স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অনেক ক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের মাঠে চড়ানো গবাদি পশুর দলকে পারাপার করতে গিয়ে ব্রিজের ভাঙা অংশ পশুর দল আচ করতে না পেড়ে গর্তে পড়ে গবাদি পশু ও মালিকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। সরকার দেশের উন্নয়নে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। যা নিরপেক্ষতার বিচারে সবার দৃষ্টিনন্দন হিসেবে পরিগনিত হয়ে আছে। অথচ পাশের রাজাপুর রেল স্টেশনের উত্তর পাশ দিয়ে ঘেঁষা ভাঙা ব্রিজটির মেরামত ও উন্নয়নে কোন ভুমিকা নেই বললেই চলে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহাম্মদ অক্ষর জানান, ব্রিজটি কাজের জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সয়েল টেস্ট ও সম্পন্ন করেছে। যদি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কাজটি করেতে না পারে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও এর সাথে আলোচনা করে বিধিমোতাবেক কাজটি অচিরেই সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক উক্ত ব্রিজে স্টিলের পাত বসানো হয়েছিল কিন্ত রাতের আধারে সেই স্টিলের পাত কে বা করা চুরি করে নিয়ে যায়। তাই এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন ও স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।