Dhaka সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম ইকবাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২২৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বিসিবির পরিচালক পদপ্রার্থী একজন  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল দশটা নাগাদ মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। জোর গুঞ্জন ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতেই মিরপুরে হাজির হন তামিম। শেষমেশ গুঞ্জনই সত্যি হলো। তিনি মিরপুরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচনের পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ সময়। দুপুর ২টায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। গুঞ্জন আছে, তামিমের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক প্রার্থী সরে দাঁড়াতে পারেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তামিম। জানান, নোংরামির সঙ্গে থাকতে চান না বলেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে, এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না।’

তামিম জানান, আসন্ন নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। আমি একটা কথাই বলব যে, ক্রিকেট হেরে গেছে। আপনারা বলেন যে, ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’

নিজের সেই বক্তব্যে সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি আমিসহ ১৪-১৫ জন। প্রত্যাহার করার কারণ খুবই স্পষ্ট। মনে হয় না এটা নিয়ে আমাকে বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনটা কীভাবে হচ্ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে এটা সবাই এখন দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনোদিক থেকেই মানায় না।’

এদিন মিরপুরে আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ছিলেন সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ ও ইসরাফিল খসরু।

প্রসঙ্গত, আগামী ০৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।

যে ১৫ জন নির্বাচন থেকে সরে গেলেন

১. তামিম ইকবাল (ওল্ডডিওএইচএস) ২. রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র) ৩. মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান) ৪. সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স) ৫. মির হেলাল (চট্টগাম জেলা) ৬. সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি) ৭. ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স) ৮. সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ) ৯. তৌহিদ তারেক (পাবনা) ১০. অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর) ১১. সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩) ১২. ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং) ১৩. ফাহিম সিনহা (সুর্যতরুণ) ১৪. সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস) ১৫. ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম ইকবাল

প্রকাশের সময় : ১২:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বিসিবির পরিচালক পদপ্রার্থী একজন  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল দশটা নাগাদ মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। জোর গুঞ্জন ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতেই মিরপুরে হাজির হন তামিম। শেষমেশ গুঞ্জনই সত্যি হলো। তিনি মিরপুরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচনের পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ সময়। দুপুর ২টায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। গুঞ্জন আছে, তামিমের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক প্রার্থী সরে দাঁড়াতে পারেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তামিম। জানান, নোংরামির সঙ্গে থাকতে চান না বলেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে, এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না।’

তামিম জানান, আসন্ন নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। আমি একটা কথাই বলব যে, ক্রিকেট হেরে গেছে। আপনারা বলেন যে, ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’

নিজের সেই বক্তব্যে সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি আমিসহ ১৪-১৫ জন। প্রত্যাহার করার কারণ খুবই স্পষ্ট। মনে হয় না এটা নিয়ে আমাকে বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনটা কীভাবে হচ্ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে এটা সবাই এখন দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনোদিক থেকেই মানায় না।’

এদিন মিরপুরে আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীকে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ছিলেন সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ ও ইসরাফিল খসরু।

প্রসঙ্গত, আগামী ০৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।

যে ১৫ জন নির্বাচন থেকে সরে গেলেন

১. তামিম ইকবাল (ওল্ডডিওএইচএস) ২. রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র) ৩. মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান) ৪. সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স) ৫. মির হেলাল (চট্টগাম জেলা) ৬. সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি) ৭. ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স) ৮. সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ) ৯. তৌহিদ তারেক (পাবনা) ১০. অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর) ১১. সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩) ১২. ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং) ১৩. ফাহিম সিনহা (সুর্যতরুণ) ১৪. সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস) ১৫. ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)।