Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির পেছনে বাঘা বাঘা ব্যক্তি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে না পাওয়া সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় ভুল বোঝাবুঝি। এজন্য শুধু বিশ্বব্যাংককে দায়ী করা যাবে না। এর সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু বাঘা বাঘা ব্যক্তিও জড়িত ছিল।

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রজেক্ট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংক ইচ্ছে করলে পদ্মা সেতুতে জড়িত থাকতে পারত। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে এজন্য শুধু বিশ্বব্যাংককে দায়ী করা যাবে না।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এ দেশে কিছু সমস্যা হয় সে বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। ঘাটে ঘাটে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এতে কষ্ট বাড়ে, সময়ও বাড়ে। এই প্রজেক্টে অংশীদার হওয়ায় বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো ( যোগাযোগে এমন উন্নয়ন) হয়নি। এটি বিরাট এক অর্জন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যতই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, একদিনে এক শ সেতু উদ্বোধন করি তারপরও যখন দুর্ঘটনায় খবর দেখি, তখন মনটা বিষণ্ন হয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। আমরা মন্ত্রী হলেও তো মানুষ। এ বিষণ্নতার এই দুর্ঘটনা আমাদের মনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এতো মেগা প্রোজেক্ট, এতো উন্নয়ন করার পরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না, এই দুর্ঘটনার কারণে। কেন হবে? আমরা কি এটা এড়াতে পারি না? আমরা এত কিছু করতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারি, এটা কেন পারব না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হয়। আমাদের ভাবনা অনেক সুদূরপ্রসারী। কিন্তু বাস্তবায়ন খুবই ধীর।

তিনি বলেন, আমাদের বাজেট সহায়তায় যে পরিমাণ ফান্ডিং তারা করেছে, আজ একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এটা একটা বিরাট অর্জন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা যতই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন করি, তারপরও যখন দুর্ঘটনায় খবর দেখি তখন মনটা বিষণ্ন হয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। আমরা মন্ত্রী হলেও তো মানুষ। এ বিষণ্নতার দুর্ঘটনা আমাদের মনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এত মেগা প্রজেক্ট, এত উন্নয়ন করার পরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না দুর্ঘটনার কারণে। কেন হবে? আমরা কি এটা এড়াতে পারি না? আমরা এত কিছু করতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারি, এটা কেন পারব না? এটাই হচ্ছে আজ প্রশ্ন। বিশ্বব্যাংক এখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বেশির ভাগ ফান্ডিং করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কথা বলি, কাজ করি না। নানাভাবে কাজ বিলম্বিত হয়। কাজেই বিশ্বব্যাংকের যে ফান্ডিং, যে প্রজেক্টের জন্য, এ কাজটি আমরা শপথ নিই, বাস্তবায়নটা যথা সময়ে না হলে দেশের মানুষ বিরক্ত হবে। আমাদের আর সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। আমাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব কাজে হাত দিতে হবে। আজ একটা বাস্তবতা আছে আমাদের চার পাশে যুদ্ধ, ক্লাইমেট চেঞ্জ। আমাদের প্রথম কাজ হবে লোকজনকে বলতে হবে পরিবেশ রক্ষা করতে। এই কাজটা আমাদের আগে করতে হবে। যে মানুষগুলোর জন্য আমরা এত কিছু করছি, তাদের তো জীবিকার জন্য রাস্তায় যেতে হবে। সেখানে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনা। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসঙ্গত বলে আমরা মনে করি না। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারটিও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বিএনপি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার অসুস্থতা নিয়ে যতটা উদ্বেগ, তার চেয়ে মনে হয়, তাকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই তাদের বড় চর্চা বলে মনে করি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বেগম জিয়ার জন্য কিছু করতে পারেনি এবং বাইরে তেমন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি যে তাতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি আমাদের আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন। তারাই উচ্চপর্যায়ে কথা বলছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। অন্যান্য দেশে ডেমোক্রেসি আছে, নির্বাচন হচ্ছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ জানুয়ারি ডেমোক্রেসির নামে যা হলো আমরা তো সেটা নিয়ে প্রশ্ন করিনি। ৬টি প্রাণ ঝরে গেল।

কাদের বলেন, সবাই মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বাস্তবে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কিছু না কিছু ত্রুটি আছে। আমরাও আমাদের গণতন্ত্রকে পারফেক্ট বলব না। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি।

বিএনপি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। বরিশাল ও খুলনায় নির্বাচন হলো। কক্সবাজারে নির্বাচন হলো, অত্যন্ত কঠিন জায়গা। আপনি কতটা জনপ্রিয়, প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক হাজার লোকের একটা মিছিল বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা দেখিনি। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিত।

জামায়াত প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা উচ্চ আদালতে আটকে আছে। সরকার তো এখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

বিএনপি জামায়াতকে ফের মাঠে নামিয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কি হিউম্যান রাইটসের আদর্শে চলি? তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমরা চলি? আমাদের উন্নয়ন, আমাদের উন্নতি, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, আমাদের এখনকার স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনা কি তাদের কথাই করি? আমরা তো এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো আমাদের দেশটার জন্য সর্বত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন বাইরের বিষয় নানা হস্তক্ষেপ থাকে। এটার নানা কারণ থাকে। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা উচিত। কারও চাপে নতি স্বীকার করি না, করব না।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল (পরিবহন) প্র্যাকটিস ম্যানেজার ফেই ডেং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব শরিফা খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হয়। সড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির পেছনে বাঘা বাঘা ব্যক্তি : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে না পাওয়া সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় ভুল বোঝাবুঝি। এজন্য শুধু বিশ্বব্যাংককে দায়ী করা যাবে না। এর সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু বাঘা বাঘা ব্যক্তিও জড়িত ছিল।

বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রজেক্ট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংক ইচ্ছে করলে পদ্মা সেতুতে জড়িত থাকতে পারত। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে এজন্য শুধু বিশ্বব্যাংককে দায়ী করা যাবে না।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এ দেশে কিছু সমস্যা হয় সে বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। ঘাটে ঘাটে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এতে কষ্ট বাড়ে, সময়ও বাড়ে। এই প্রজেক্টে অংশীদার হওয়ায় বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

শেখ হাসিনার সরকারের আমলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো ( যোগাযোগে এমন উন্নয়ন) হয়নি। এটি বিরাট এক অর্জন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যতই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, একদিনে এক শ সেতু উদ্বোধন করি তারপরও যখন দুর্ঘটনায় খবর দেখি, তখন মনটা বিষণ্ন হয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। আমরা মন্ত্রী হলেও তো মানুষ। এ বিষণ্নতার এই দুর্ঘটনা আমাদের মনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এতো মেগা প্রোজেক্ট, এতো উন্নয়ন করার পরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না, এই দুর্ঘটনার কারণে। কেন হবে? আমরা কি এটা এড়াতে পারি না? আমরা এত কিছু করতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারি, এটা কেন পারব না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক ক্ষতি হয়। আমাদের ভাবনা অনেক সুদূরপ্রসারী। কিন্তু বাস্তবায়ন খুবই ধীর।

তিনি বলেন, আমাদের বাজেট সহায়তায় যে পরিমাণ ফান্ডিং তারা করেছে, আজ একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এটা একটা বিরাট অর্জন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা যতই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন করি, তারপরও যখন দুর্ঘটনায় খবর দেখি তখন মনটা বিষণ্ন হয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। আমরা মন্ত্রী হলেও তো মানুষ। এ বিষণ্নতার দুর্ঘটনা আমাদের মনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এত মেগা প্রজেক্ট, এত উন্নয়ন করার পরও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না দুর্ঘটনার কারণে। কেন হবে? আমরা কি এটা এড়াতে পারি না? আমরা এত কিছু করতে পারি, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারি, এটা কেন পারব না? এটাই হচ্ছে আজ প্রশ্ন। বিশ্বব্যাংক এখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বেশির ভাগ ফান্ডিং করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কথা বলি, কাজ করি না। নানাভাবে কাজ বিলম্বিত হয়। কাজেই বিশ্বব্যাংকের যে ফান্ডিং, যে প্রজেক্টের জন্য, এ কাজটি আমরা শপথ নিই, বাস্তবায়নটা যথা সময়ে না হলে দেশের মানুষ বিরক্ত হবে। আমাদের আর সময় নষ্ট করার মতো সময় নেই। আমাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব কাজে হাত দিতে হবে। আজ একটা বাস্তবতা আছে আমাদের চার পাশে যুদ্ধ, ক্লাইমেট চেঞ্জ। আমাদের প্রথম কাজ হবে লোকজনকে বলতে হবে পরিবেশ রক্ষা করতে। এই কাজটা আমাদের আগে করতে হবে। যে মানুষগুলোর জন্য আমরা এত কিছু করছি, তাদের তো জীবিকার জন্য রাস্তায় যেতে হবে। সেখানে তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনা। আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপ যুক্তিসঙ্গত বলে আমরা মনে করি না। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারটিও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন বিএনপি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার অসুস্থতা নিয়ে যতটা উদ্বেগ, তার চেয়ে মনে হয়, তাকে নিয়ে রাজনীতি করাটাই তাদের বড় চর্চা বলে মনে করি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) বেগম জিয়ার জন্য কিছু করতে পারেনি এবং বাইরে তেমন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি যে তাতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টি আমাদের আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখছেন। তারাই উচ্চপর্যায়ে কথা বলছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। অন্যান্য দেশে ডেমোক্রেসি আছে, নির্বাচন হচ্ছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ জানুয়ারি ডেমোক্রেসির নামে যা হলো আমরা তো সেটা নিয়ে প্রশ্ন করিনি। ৬টি প্রাণ ঝরে গেল।

কাদের বলেন, সবাই মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে বাস্তবে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। কিছু না কিছু ত্রুটি আছে। আমরাও আমাদের গণতন্ত্রকে পারফেক্ট বলব না। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি।

বিএনপি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। বরিশাল ও খুলনায় নির্বাচন হলো। কক্সবাজারে নির্বাচন হলো, অত্যন্ত কঠিন জায়গা। আপনি কতটা জনপ্রিয়, প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এক হাজার লোকের একটা মিছিল বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা দেখিনি। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদত্যাগ করা উচিত।

জামায়াত প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা উচ্চ আদালতে আটকে আছে। সরকার তো এখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

বিএনপি জামায়াতকে ফের মাঠে নামিয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কি হিউম্যান রাইটসের আদর্শে চলি? তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমরা চলি? আমাদের উন্নয়ন, আমাদের উন্নতি, আমাদের সমৃদ্ধি, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, আমাদের এখনকার স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনা কি তাদের কথাই করি? আমরা তো এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো আমাদের দেশটার জন্য সর্বত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন বাইরের বিষয় নানা হস্তক্ষেপ থাকে। এটার নানা কারণ থাকে। আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখা উচিত। কারও চাপে নতি স্বীকার করি না, করব না।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল (পরিবহন) প্র্যাকটিস ম্যানেজার ফেই ডেং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সচিব শরিফা খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হয়। সড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।