Dhaka বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব গণমাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার খবর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। দেশের গণমাধ্যমগুলো সেসব গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের স্মরণকালের বৃহৎ এই জানাজার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা হয়। পরে তাকে তার স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এসব খবর তুলে নিয়েছে। গণমাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশাল জনতা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা শিরোনাম করেছে, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় জনসমাগম, সাবেক নেত্রীকে বিদায়।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল।

তুরস্কের টিআরটি লিখেছে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাল বাংলাদেশ।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি লিখেছে, রাষ্ট্রীয় জানাজায় খালেদা জিয়ার জন্য বাংলাদেশের শোক।

মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা বার্নামা লিখেছে, খালেদা জিয়ার জানাজায় লাখো মানুষ। স্বামীর পাশে সমাহিত।

চীনের বার্তাসংস্থা এএফপি লিখেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপিন্ডেন্ট জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। সকাল থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মানুষের ঢেউ সংসদ ভবনের বাইরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে ছুটে আসছিল। খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও ঢাকায় এসেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, একটি যুগের অবসান : নিজেদের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে সমাহিত করল বাংলাদেশ।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লঁ মন্ত লিখেছে, খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় : হাজার হাজার মানুষ গেলো তার কফিনের পেছনে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি শিরোনাম করেছে, খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় : স্বামীর পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য শোক জানাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছেন বিপুল সংখ্যক শোকাহত মানুষ।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয়। দেশটির আরেকটি পত্রিকা আনন্দবাজার লিখেছে, ‘জনারণ্যের মাঝেই খালেদার শেষকৃত্য! স্বামী মেজর জিয়াউরের পাশে সমাধিস্থ করা হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।’

মঙ্গলবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা খালেদা জিয়াকে বুধবার বিকালে দাফন করা হয়। এরআগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেলা ৩টা বেজে ৩ মিনিটে খালেদা জিয়ার জানাজা শুরু হয়। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। বেলা ৩টা বেজে ৫ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং তিনবারের সরকারপ্রধান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচনের আগে ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠক জামায়াত আমিরের

বিশ্ব গণমাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার খবর

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। দেশের গণমাধ্যমগুলো সেসব গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের স্মরণকালের বৃহৎ এই জানাজার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ৩টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা হয়। পরে তাকে তার স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে এসব খবর তুলে নিয়েছে। গণমাধ্যমটি শিরোনাম করেছে, রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশাল জনতা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা শিরোনাম করেছে, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় জনসমাগম, সাবেক নেত্রীকে বিদায়।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল।

তুরস্কের টিআরটি লিখেছে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাল বাংলাদেশ।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি লিখেছে, রাষ্ট্রীয় জানাজায় খালেদা জিয়ার জন্য বাংলাদেশের শোক।

মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা বার্নামা লিখেছে, খালেদা জিয়ার জানাজায় লাখো মানুষ। স্বামীর পাশে সমাহিত।

চীনের বার্তাসংস্থা এএফপি লিখেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপিন্ডেন্ট জানিয়েছে, বুধবার রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। সকাল থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মানুষের ঢেউ সংসদ ভবনের বাইরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে ছুটে আসছিল। খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও ঢাকায় এসেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, একটি যুগের অবসান : নিজেদের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে সমাহিত করল বাংলাদেশ।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লঁ মন্ত লিখেছে, খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় : হাজার হাজার মানুষ গেলো তার কফিনের পেছনে।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি শিরোনাম করেছে, খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় : স্বামীর পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্য শোক জানাচ্ছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছেন বিপুল সংখ্যক শোকাহত মানুষ।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় বিশাল জনসমাগম হয়। দেশটির আরেকটি পত্রিকা আনন্দবাজার লিখেছে, ‘জনারণ্যের মাঝেই খালেদার শেষকৃত্য! স্বামী মেজর জিয়াউরের পাশে সমাধিস্থ করা হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।’

মঙ্গলবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা খালেদা জিয়াকে বুধবার বিকালে দাফন করা হয়। এরআগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেলা ৩টা বেজে ৩ মিনিটে খালেদা জিয়ার জানাজা শুরু হয়। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। বেলা ৩টা বেজে ৫ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং তিনবারের সরকারপ্রধান।