Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো শিক্ষার্থী বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসে ছাত্রীরা নিচতলায় বসবে এবং ছাত্ররা দোতলায় বসবে, এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়, কোথা থেকে হয়, কার মাথা থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হওয়ায় এবং ক্লিনফিডের মাধ্যমে বিদেশি টেলিভিশন প্রদর্শিত হওয়ায় দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হওয়া প্রায় ৫০০ কোটি টাকা টাকা সেভ হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়াই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার বিষয়টিও বন্ধ করা হবে।

বিএনপি বলছে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাচ্ছে না, এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার আইনের কোনো ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। যদি তারা মনে করে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, তাহলে তারা তো আদালতে যেতে পারে। আদালতের কাছে প্রশ্ন করতে পারে। আর আদালত সেটি পরিষ্কার করবে।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। মামলাগুলো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। সেক্ষেত্রে তারা তো আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা চাইতেই পারে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বেগম জিয়া কি সে মহানুভবতা দেখিয়েছিলেন যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? ক্ষমতায় থাকাকালীন সিএমএইচ হাসপাতালে রোগী দেখতে সেনানিবাসে ঢুকতে দেননি। শেখ হাসিনাকে হেঁটে যেতে হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ, যে নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট করেছে। তার জন্মদিন ৪-৫টি, কোনোটায় ১৫ আগস্ট ছিল না। তার বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটি, পাসপোর্টে একটি, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে একটি এবং সর্বশেষ করোনা হওয়ার পর আরো একটি জন্ম তারিখ দেখা গেছে। কোনোটাতেই ১৫ আগস্ট ছিল না। যেদিন মানুষ শোক দিবস পালন করে, সেদিন তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।

মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু দরজা খোলা হয় নি। কী পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য দরজা খোলেনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছিল। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি। যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই মামলায় তিনি সাজা খাটছেন এবং বিচার হচ্ছে। সরকার তো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনবার্সন করেছেন, তাদের প্রমোশন দিয়েছেন। এত কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেছেন, এতো প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। সেটি কি তারা কখনো করতো? শুধু তাই নয় তারা (বিএনপি) এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণের পরিকল্পনা করেছেন। সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে এফবিআইয়ের বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়া টিউলিপের নাম দেখে চুক্তি পর্যন্ত বাতিল করেছে। কী রকম প্রতিহিংসা তার। সেই মানুষটির প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখাচ্ছেন সেটি অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোনো শিক্ষার্থী বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসে ছাত্রীরা নিচতলায় বসবে এবং ছাত্ররা দোতলায় বসবে, এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়, কোথা থেকে হয়, কার মাথা থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হওয়ায় এবং ক্লিনফিডের মাধ্যমে বিদেশি টেলিভিশন প্রদর্শিত হওয়ায় দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হওয়া প্রায় ৫০০ কোটি টাকা টাকা সেভ হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়াই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার বিষয়টিও বন্ধ করা হবে।

বিএনপি বলছে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাচ্ছে না, এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকার আইনের কোনো ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। যদি তারা মনে করে সরকার আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, তাহলে তারা তো আদালতে যেতে পারে। আদালতের কাছে প্রশ্ন করতে পারে। আর আদালত সেটি পরিষ্কার করবে।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। মামলাগুলো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে। সেক্ষেত্রে তারা তো আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা চাইতেই পারে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, বেগম জিয়া কি সে মহানুভবতা দেখিয়েছিলেন যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? ক্ষমতায় থাকাকালীন সিএমএইচ হাসপাতালে রোগী দেখতে সেনানিবাসে ঢুকতে দেননি। শেখ হাসিনাকে হেঁটে যেতে হয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ, যে নিজের জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট করেছে। তার জন্মদিন ৪-৫টি, কোনোটায় ১৫ আগস্ট ছিল না। তার বিয়ের রেজিস্ট্রারে একটি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটি, পাসপোর্টে একটি, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে একটি এবং সর্বশেষ করোনা হওয়ার পর আরো একটি জন্ম তারিখ দেখা গেছে। কোনোটাতেই ১৫ আগস্ট ছিল না। যেদিন মানুষ শোক দিবস পালন করে, সেদিন তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন।

মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সেই মানুষ যার দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিল কিন্তু দরজা খোলা হয় নি। কী পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য দরজা খোলেনি। বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিল তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করেছিল। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি। যে সমস্ত মামলা হয়েছে সেগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই মামলায় তিনি সাজা খাটছেন এবং বিচার হচ্ছে। সরকার তো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনবার্সন করেছেন, তাদের প্রমোশন দিয়েছেন। এত কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেছেন, এতো প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন। সেটি কি তারা কখনো করতো? শুধু তাই নয় তারা (বিএনপি) এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণের পরিকল্পনা করেছেন। সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে এফবিআইয়ের বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়া টিউলিপের নাম দেখে চুক্তি পর্যন্ত বাতিল করেছে। কী রকম প্রতিহিংসা তার। সেই মানুষটির প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখাচ্ছেন সেটি অনেক বেশি বলে আমি মনে করি।