Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরের চারপাশে ২৬৩টি অনুমোদনহীন উঁচু ভবন, জানানো হয়েছে রাজউককে : বেবিচক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকার বিমানবন্দরের আশেপাশে ২৬৩টি অনুমোদনবিহীন উঁচু ভবন রয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেবিচক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের আশেপাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’-এ অনুমতি ছাড়া অন্তত ২৬৩টি উঁচু ভবন গত ১০ বছরে নির্মিত হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু ভবন ভাঙার কোনো অনুমতি বেবিচকের নাই, তাই আমরা এই ব্যাপারে রাজউক বারবার চিঠি লিখে জানিয়েছি, এখন এটা ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের।

মাইলস্টোনের দুর্ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাইলস্টোনের আশেপাশে কোনো অনুমোদনবিহীন উঁচু ভবন নেই। মাইলস্টোনের আশেপাশে ১৫০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন আছে, সেখানে সর্বোচ্চ ১৩৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু ভবন আছে।

এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারেননি বেবিচক চেয়ারম্যান। তবে তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই টার্মিনাল পুরোদমে চালু করার বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

তিনি বলেন, এখনো জাপানি কনসোটিয়ামের সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশন বিষয়ে দেনদরবার চলছে, সমঝোতা হলে উভয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হবে।

হাসান মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, এই মুহূর্তে থার্ড টার্মিনাল চালু করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমি এখানে যোগদান করার পরপরই সব পক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে অনেক বৈঠক করেছি। সবারই স্বার্থ রক্ষা করে টার্মিনালটি চালু করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। দ্রুততার সঙ্গে যেন টার্মিনাল চালু করা যায়, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বেবিচক চেয়ারম্যান হিসেবে এটি তার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন,  থার্ড টার্মিনালের দিকে এখন সবার দৃষ্টি। এ কারণে আমার প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ  হচ্ছে— দ্রততার সঙ্গে এটি চালু করা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেবিচক  চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ফ্লাইজোনের আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩০০ ভবন  চিহ্নিত করেছি। এগুলোর বিষয় রাজউককে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। আশা করবো, তারা ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন,  বেবিচকে যে দুর্নীতি হয় না, এটি আমি বলবো না।   এটি অস্বীকার করার উপায়ও নেই। কিন্তু  এগুলো রোধে কার্যকর ব্যবস্থা থাকবে। আমার চোখের সামনে দিয়ে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা কেউ দুর্নীতি করে পার পাবে না। আমরা সৎ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্রুত চালু হবে। অবকাঠামোগত কাজ এখনও কিছু বাকি আছে। এগুলো চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা একে-অপরের হয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করতে চাই। এজন্য আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।  মতবিনিময় সভায় বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আ.লীগ কর্মীদের প্রবেশ, দুধে ধোয়া হলো বিএনপির অফিস

বিমানবন্দরের চারপাশে ২৬৩টি অনুমোদনহীন উঁচু ভবন, জানানো হয়েছে রাজউককে : বেবিচক চেয়ারম্যান

প্রকাশের সময় : ০২:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকার বিমানবন্দরের আশেপাশে ২৬৩টি অনুমোদনবিহীন উঁচু ভবন রয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেবিচক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের আশেপাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’-এ অনুমতি ছাড়া অন্তত ২৬৩টি উঁচু ভবন গত ১০ বছরে নির্মিত হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু ভবন ভাঙার কোনো অনুমতি বেবিচকের নাই, তাই আমরা এই ব্যাপারে রাজউক বারবার চিঠি লিখে জানিয়েছি, এখন এটা ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রাজউকের।

মাইলস্টোনের দুর্ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাইলস্টোনের আশেপাশে কোনো অনুমোদনবিহীন উঁচু ভবন নেই। মাইলস্টোনের আশেপাশে ১৫০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন আছে, সেখানে সর্বোচ্চ ১৩৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু ভবন আছে।

এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারেননি বেবিচক চেয়ারম্যান। তবে তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই টার্মিনাল পুরোদমে চালু করার বিষয়ে তারা কাজ করছেন।

তিনি বলেন, এখনো জাপানি কনসোটিয়ামের সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশন বিষয়ে দেনদরবার চলছে, সমঝোতা হলে উভয়ের মধ্যে একটি চুক্তি হবে।

হাসান মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, এই মুহূর্তে থার্ড টার্মিনাল চালু করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, আমি এখানে যোগদান করার পরপরই সব পক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে অনেক বৈঠক করেছি। সবারই স্বার্থ রক্ষা করে টার্মিনালটি চালু করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। দ্রুততার সঙ্গে যেন টার্মিনাল চালু করা যায়, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বেবিচক চেয়ারম্যান হিসেবে এটি তার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন,  থার্ড টার্মিনালের দিকে এখন সবার দৃষ্টি। এ কারণে আমার প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ  হচ্ছে— দ্রততার সঙ্গে এটি চালু করা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেবিচক  চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ফ্লাইজোনের আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩০০ ভবন  চিহ্নিত করেছি। এগুলোর বিষয় রাজউককে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। আশা করবো, তারা ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন,  বেবিচকে যে দুর্নীতি হয় না, এটি আমি বলবো না।   এটি অস্বীকার করার উপায়ও নেই। কিন্তু  এগুলো রোধে কার্যকর ব্যবস্থা থাকবে। আমার চোখের সামনে দিয়ে কোনও ধরনের দুর্নীতি বা কেউ দুর্নীতি করে পার পাবে না। আমরা সৎ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্রুত চালু হবে। অবকাঠামোগত কাজ এখনও কিছু বাকি আছে। এগুলো চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা একে-অপরের হয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করতে চাই। এজন্য আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।  মতবিনিময় সভায় বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।