আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিমান বিধ্বস্তের ৪০ দিন পর গভীর আমাজন জঙ্গল থেকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার চার শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক বছর বয়সী একটি শিশুও আছে। গভীর আমাজন জঙ্গলে এক মাসেরও বেশি সময় আগে বিধ্বস্ত হয়েছিল কলম্বিয়ার বিমানটি।
শুক্রবার (৯ জুন) কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এ তথ্য জানিয়েছেন।
চার শিশুকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেত্রো। এ ঘটনা ‘পুরো দেশের জন্য আনন্দজনক’ বলে জানায় সে। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের পুরো দেশের জন্য আনন্দজনক খবর রয়েছে। আমাজন জঙ্গল থেকে চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৪০ দিন আগে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর থেকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এই চার শিশু নিখোঁজ ছিল।
টুইটে গুস্তাভো পেত্রো উদ্ধার কার্যক্রমের ছবি পোস্ট করেছেন। এ ছবিতে কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনকে উদ্ধারকাজে অংশ নিতে দেখা গেছে।
ছোট প্লেনটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার কাছাকাছি কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের সীমান্তের কাছ থেকে সামরিক বাহিনী ভাইবোনদের উদ্ধার করেছে। সেসনা- ২০৬ প্লেনটিতে ৭ জন আরোহী ছিল। প্লেনটি আমাজোনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের একটি রুটে যাচ্ছিল। ওই সময় ১মে ভোরে ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনায় পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা যান। তাদের মরদেহগুলো প্লেনের ভেতরেই পাওয়া যায়। ১৩, ৯ এবং ৪ বছর বয়সী শিশু এবং সেইসঙ্গে ১২ মাস বয়সী আরও একটি শিশু দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিল। তারা পরে জঙ্গলে হারিয়ে যায়।
শিশুদের দাদা নার্সিজো মুকুটুই সাংবাদিকদের জানান, তাদের উদ্ধারের খবরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, ইয়ারির জঙ্গলে নিখোঁজ হওয়া আমার নাতি-নাতনিদের দাদা হিসাবে এ মুহূর্তে আমি খুব খুশি।
কর্মকর্তারা বলেছেন, শিশুরা হুইটোতো সম্প্রদায়ের সদস্য। রেইনফরেস্টে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সে সম্পর্কে অল্পস্বল্প জ্ঞান ছিল। তারা বলছেন, শিশুদের ফেলে রাখা আধ খাওয়া ফল এবং গাছপালা দিয়ে তৈরি করা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিল উদ্ধারকারীরা। তাই অভিযান কিছুটা সহজ হয়েছিল। সূত্র: আল জাজিরা।