Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমান প্রশিক্ষণ কোথায় হবে ভেবে দেখা দরকার : সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোথায় হবে তা নতুন করে ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি এসব কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সব সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলব, এই ধরনের ট্রেনিং কোথায়, কি করলে, কোন চ্যানেল করতে হবে সেটা নতুন করে দেখার প্রয়োজন। ঢাকা শহর ঘনবসতিপূর্ণ। যেকোনো কিছুতে একটা ট্র্যাজেডি।

উপদেষ্টা বলেন, উড়োজাহাজ নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে পাইলট এরোর এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও উড়োজাহাজগুলো পুরনো, তবে এগুলো ট্রেনিং জেট। আমার জানা মতে, এগুলো পুরনো হলেও ভেতরের অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। এখন ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না, এটি টেকনিক্যাল এরোর ছিল নাকি পাইলটের এরোর। পাইলট এরোরের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে বিমানটি যিনি ওড়াচ্ছিলেন তিনি মারা গেছেন। এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।

হতাহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে (বার্ন ইনস্টিটিউটে) ইতোমধ্যে দশজন মারা গেছেন। অনেকের শরীরের ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি। চিকিৎসকরা তাদের নিয়ে ভাবছেন। কিছু রোগী আছেন, যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর থেকে একটি মেডিকেল টিম আসছে, তারা দেখে যদি মনে করে প্রয়োজন, তবে রোগীদের সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।

চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যা যা দরকার, সবই করা হবে। যাদের বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

বিমান প্রশিক্ষণ কোথায় হবে ভেবে দেখা দরকার : সাখাওয়াত হোসেন

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোথায় হবে তা নতুন করে ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি এসব কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সব সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলব, এই ধরনের ট্রেনিং কোথায়, কি করলে, কোন চ্যানেল করতে হবে সেটা নতুন করে দেখার প্রয়োজন। ঢাকা শহর ঘনবসতিপূর্ণ। যেকোনো কিছুতে একটা ট্র্যাজেডি।

উপদেষ্টা বলেন, উড়োজাহাজ নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে পাইলট এরোর এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও উড়োজাহাজগুলো পুরনো, তবে এগুলো ট্রেনিং জেট। আমার জানা মতে, এগুলো পুরনো হলেও ভেতরের অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়ে থাকে। এখন ব্ল্যাকবক্স বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না, এটি টেকনিক্যাল এরোর ছিল নাকি পাইলটের এরোর। পাইলট এরোরের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে বিমানটি যিনি ওড়াচ্ছিলেন তিনি মারা গেছেন। এটি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।

হতাহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে (বার্ন ইনস্টিটিউটে) ইতোমধ্যে দশজন মারা গেছেন। অনেকের শরীরের ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি। চিকিৎসকরা তাদের নিয়ে ভাবছেন। কিছু রোগী আছেন, যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর থেকে একটি মেডিকেল টিম আসছে, তারা দেখে যদি মনে করে প্রয়োজন, তবে রোগীদের সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।

চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসায় যা যা দরকার, সবই করা হবে। যাদের বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছি।