স্পোর্টস ডেস্ক :
সাড়ে ৫ কোটি টাকায় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের স্পন্সরশিপ কিনেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সব হোম সিরিজের স্বত্বও এই ব্যাংকটির কাছে। এবার যুক্ত হলো বিপিএলে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আনুষ্ঠানিক লোগো উন্মোচন হয়েছে। বিপিএল-এর এই ১১তম আসরের নাম ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বিপিএল টি-টোয়েন্টি, পাওয়ার্ড বাই রকেট, কো-স্পন্সর নেক্সাসপে’।
প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিমসহ টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন ও বিপিএল-এর টাইটেল ও গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং রাইটস্ হোল্ডার ইমপ্রেস-মাত্রার পক্ষ থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিষেক টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায়। পাশাপাশি দীর্ঘসময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হোম সিরিজের টাইটেল স্পন্সর ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এবারই প্রথম বিপিএল আয়োজনে সম্পৃক্ত হলো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
গত বোর্ড মিটিংয়ে বিপিএলের সূচি নির্ধারণ করে বিসিবি। ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে ১১তম বিপিএল। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে পরের বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি।
এবারের বিপিএলের ৭টি দল হলো- ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
পুরনো দলের মধ্যে নেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এ ছাড়া বদল হয়েছে ঢাকার মালিকানা। পুনরায় ফিরে এসেছে দুর্বার রাজশাহী।
উল্লেখ্য, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) চলছে মধুমতি ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায়। আর ঢাকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের স্পন্সরশিপ নিয়েছে মেঘনা ব্যাংক।