নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিতে দক্ষ শ্রমিকের যোগান নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। আমরা দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারছি না বলে আমাদের শ্রমিকদের কম মজুরিতে কাজ করতে হয়।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসএস ) আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিক অভিবাসন’ সংক্রান্ত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
মসিউর রহমান বলেন, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্ধৃত শ্রমিক আছে। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে পারি। আমাদের দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে। সেজন্য আমরা ইউরোপের চাহিদামত শিল্পভিত্তিক দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারি না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে অবকাঠামো ভিত্তিক কাজে আমরা খাপ খেয়ে নিতে পেরেছি। যারা প্রকৃতপক্ষে বিদেশে কাজ করতে যান তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। দক্ষ ও শিক্ষিত শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে।
দক্ষ কর্মী দক্ষিণ এশিয়ার বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নিজের দেশেই যখন প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়বে, তখন বিদেশে লোক পাঠানো হবে কি না- সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। আমাদের পোশাক খাতে হাজার হাজার দক্ষ নারী শ্রমিক কাজ করছে। নারীর ক্ষমতায়নে তারা ভূমিকা রাখছে।
বিদেশ থেকে কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশে বিনিয়োগে ব্যবহার হয় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, বিদেশে কর্মরত কর্মীরা তাদের পাঠানো অর্থ দিয়ে জমি কেনে। কারণ তারা জানে না এ টাকা তারা কোথায় বিনিয়োগ করবে। এটা ক্ষতিকারক কিছু নয় কিন্তু এ অর্থ বিনিয়োগে আমাদের আরও সম্ভাবনার কথা চিন্তা করতে হবে। গ্রামের মানুষ যখন শহরে বিনিয়োগ করতে পারে না তখন তারা জমি কেনে। কারণ জমি তাকে নিরাপত্তা, সম্মান ও প্রতিপত্তি দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, একাডেমিয়া, গবেষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















