Dhaka বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জনিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চলছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রাসেলস সফরসহ চলমান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সেদেশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা তাদের সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কীভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এর আগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল এবং ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

মিয়ানমারের বিজিপি যে সদস্যরা বাংলাদেশে এসেছেন তাদের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ সকালে মিয়ানমারের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ বিজিপি তাদের যে সদস্যরা এখানে এসেছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনায় করছি। তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়েও আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এরআগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল। ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তারা যেতে না চাইলে কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা তো অবশ্যই যেতে চাচ্ছে। নাহলে মিয়ানমার সরকার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কেন? মিয়ানমার তাদের নিয়ে যেতে চায়। তারাই যোগাযোগ করেছে, আমরাও যোগাযোগ করেছি। দুই পাশ থেকেই যোগাযোগ হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখনও অনেকে আসছে বা আসার সম্ভাবনা আছে। আমাদের কাছে রেজিস্টার্ড ৯৫ জন এসেছে। এরমধ্যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে, আরও এসেছে কিনা জানিনা। এরমধ্যে কয়েকজন আহত আছে, তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে মিয়ানমার থেকে ভারতেও আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। তাদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সাথে কোনো অস্বস্তি নেই বলেও জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। আরও আসতে পারেন। তবে আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত নয়। সেখানে আমাদের বিজিবি সজাগ রয়েছে।

বাইডেনের চিঠির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে কোনো অস্বস্তি নেই। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্রাসেলস সফর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার আলোচনা হয়েছে ব্রাসেলসে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি, জুলাই সনদে একটুও ছাড় নয় : নাহিদ ইসলাম

বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জনিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চলছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রাসেলস সফরসহ চলমান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সেদেশের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা তাদের সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কীভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এর আগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল এবং ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

মিয়ানমারের বিজিপি যে সদস্যরা বাংলাদেশে এসেছেন তাদের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ সকালে মিয়ানমারের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ বিজিপি তাদের যে সদস্যরা এখানে এসেছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনায় করছি। তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়েও আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এরআগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল। ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তারা যেতে না চাইলে কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা তো অবশ্যই যেতে চাচ্ছে। নাহলে মিয়ানমার সরকার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কেন? মিয়ানমার তাদের নিয়ে যেতে চায়। তারাই যোগাযোগ করেছে, আমরাও যোগাযোগ করেছি। দুই পাশ থেকেই যোগাযোগ হয়েছে। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখনও অনেকে আসছে বা আসার সম্ভাবনা আছে। আমাদের কাছে রেজিস্টার্ড ৯৫ জন এসেছে। এরমধ্যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে, আরও এসেছে কিনা জানিনা। এরমধ্যে কয়েকজন আহত আছে, তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে মিয়ানমার থেকে ভারতেও আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। তাদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সাথে কোনো অস্বস্তি নেই বলেও জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। আরও আসতে পারেন। তবে আমাদের সীমান্ত অরক্ষিত নয়। সেখানে আমাদের বিজিবি সজাগ রয়েছে।

বাইডেনের চিঠির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে কোনো অস্বস্তি নেই। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ব্রাসেলস সফর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার হওয়ার আলোচনা হয়েছে ব্রাসেলসে।