Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয়নগরে নিখোঁজ নারী প্রার্থীকে পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার (হালিমা) নিখোঁজ হওয়ার ৪১ ঘণ্টা পর তাঁর সন্ধান পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সম্পর্কে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল সাতটায় নিখোঁজ প্রীতি খন্দকার তাঁর স্বামীকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রীতি খন্দকারের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। পরে তাঁকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিই। সেখানেই তিনি আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে এলাকায় আনার জন্য পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।

প্রীতি খন্দকার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী (পদ্মফুল প্রতীক)। চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রীতি খন্দকার আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় গতকাল সকালে তাঁর স্বামী মাসুদ খন্দকার বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডি ও প্রার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সার্ভারের ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় প্রথমে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষিত হন প্রীতি খন্দকার। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি জোর প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই নারী সহযোগীকে নিয়ে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে প্রচারণায় যান। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর সময় দুই নারী বাইরে আসেন। তখন ভোটারদের সঙ্গে গ্রামের ভেতরে কথা বলছিলেন প্রীতি। ১০ থেকে ২০ মিনিট পার হলেও যখন প্রীতি বের হয়ে আসছিলেন না, তখন ওই দুই নারী ভেতরে যান। কিন্তু তাঁরা প্রীতিকে কোথাও খুঁজে পাননি।

মাসুদ খন্দকার বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ফোন করে জানায়, আমার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজয়নগর থানার পুলিশ আমাদের সেখানে (কাঁচপুর) নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর স্ত্রীকে গুম করার চেষ্টা করেছে।

এর আগে প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আমার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পায়। কোর্টে ঘুরতে ঘুরতে নির্বাচনী এলাকায় সময় কম দিয়েছে বিধায় এজন্য প্রীতি দিনরাত উপজেলায় নির্বাচনী কাজে সময় দিচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাইরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিল। ১০-২০ মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছে না তখন দুজন মহিলা ভেতরে গিয়ে প্রীতিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে অনেকক্ষণ খোঁজখবর নিয়ে প্রীতিকে না পেয়ে তারা বাড়িতে চলে আসেন। পরে আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের ওসি মহোদয়কে অবগত করি। রিটার্নিং কর্মকর্তা অপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর জিডি করতে বলেন। রাত ১২টায় থানায় যাওয়ার পর ওসি বলেছেন আজ সকালে জিডি করতে।

বুধবার সকালে জিডি করে প্রার্থীর স্বামী। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার স্ত্রীকে গুম করেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

বিজয়নগরে নিখোঁজ নারী প্রার্থীকে পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জে

প্রকাশের সময় : ০২:১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার (হালিমা) নিখোঁজ হওয়ার ৪১ ঘণ্টা পর তাঁর সন্ধান পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সম্পর্কে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল সাতটায় নিখোঁজ প্রীতি খন্দকার তাঁর স্বামীকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রীতি খন্দকারের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। পরে তাঁকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিই। সেখানেই তিনি আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে এলাকায় আনার জন্য পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।

প্রীতি খন্দকার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী (পদ্মফুল প্রতীক)। চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রীতি খন্দকার আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় গতকাল সকালে তাঁর স্বামী মাসুদ খন্দকার বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডি ও প্রার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সার্ভারের ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় প্রথমে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষিত হন প্রীতি খন্দকার। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি জোর প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই নারী সহযোগীকে নিয়ে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে প্রচারণায় যান। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর সময় দুই নারী বাইরে আসেন। তখন ভোটারদের সঙ্গে গ্রামের ভেতরে কথা বলছিলেন প্রীতি। ১০ থেকে ২০ মিনিট পার হলেও যখন প্রীতি বের হয়ে আসছিলেন না, তখন ওই দুই নারী ভেতরে যান। কিন্তু তাঁরা প্রীতিকে কোথাও খুঁজে পাননি।

মাসুদ খন্দকার বলেন, আজ সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ফোন করে জানায়, আমার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজয়নগর থানার পুলিশ আমাদের সেখানে (কাঁচপুর) নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর স্ত্রীকে গুম করার চেষ্টা করেছে।

এর আগে প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আমার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পায়। কোর্টে ঘুরতে ঘুরতে নির্বাচনী এলাকায় সময় কম দিয়েছে বিধায় এজন্য প্রীতি দিনরাত উপজেলায় নির্বাচনী কাজে সময় দিচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাইরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিল। ১০-২০ মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছে না তখন দুজন মহিলা ভেতরে গিয়ে প্রীতিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। পরে অনেকক্ষণ খোঁজখবর নিয়ে প্রীতিকে না পেয়ে তারা বাড়িতে চলে আসেন। পরে আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের ওসি মহোদয়কে অবগত করি। রিটার্নিং কর্মকর্তা অপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর জিডি করতে বলেন। রাত ১২টায় থানায় যাওয়ার পর ওসি বলেছেন আজ সকালে জিডি করতে।

বুধবার সকালে জিডি করে প্রার্থীর স্বামী। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার স্ত্রীকে গুম করেছে।