Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয়নগরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও তাবলীগ জামাতের অনুসারী দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৮০ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর লুটতরাজ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চম্পকনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌছলে তাবলীগ জামায়াত নেতা রহমত উল্লাহর অনুসারীরা ওই মিছিলে বাঁধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধোর করেন। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা করে। এ সময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরারগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও হামলাকারীদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ও দোকান পাট ভাংচুর ও লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. মাসুম মিয়া বলেন, হাসপাতালে ৩০ জনের মত চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডা. নিতাই হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

বিজয়নগরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও তাবলীগ জামাতের অনুসারী দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৮০ জন আহত হয়েছে। এসময় বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর লুটতরাজ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চম্পকনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়া গ্রাম থেকে দৌলতবাড়ি দরবার শরীফের পীর সৈয়দ নাঈম উদ্দিন ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌছলে তাবলীগ জামায়াত নেতা রহমত উল্লাহর অনুসারীরা ওই মিছিলে বাঁধা দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে মারধোর করেন। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে হামলা করে। এ সময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরারগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও হামলাকারীদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ও দোকান পাট ভাংচুর ও লুটতরাজ করে দাঙ্গাবাজরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. মাসুম মিয়া বলেন, হাসপাতালে ৩০ জনের মত চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।