Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সংস্কারই স্থায়িত্ব পাবে না : প্রধান বিচারপতি

হিলি উপজেলা প্রতিনিধি : 

সংস্কার ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত সাংবিধানিক সংস্কারের নীলনকশা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। তাই বলতে চাই, বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে সৈয়দ জাফর ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই নীলনকশায় যতগুলো উদ্দেশ্য ছিল যেগুলো আমি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। যেটার সংস্কার হওয়া উচিত কিন্তু হয়নি, এখন সময় এসেছে সেটা হওয়ার। এখন অনেকটা আমাদের প্রাপ্তি হয়েছে। তবে আমাদের অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগ সংস্কার হয়। বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে।

ড. সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ বলেন, আমি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব গ্রহণ করি। অল্প সময়ের মধ্যেই আমি বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক সংস্কারের একটি প্রস্তাবনা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম, তার অনেকটা আমাদের প্রাপ্তি হয়েছে। তবে আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। কিছুটা পথ দুর্গম।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আমার যাত্রা শুরু হয়েছে। বরিশাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, রাজশাহী হয়ে এখন রংপুরে আছি। এখন বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রশ্ন এসেছে। আমাদের দেখতে হবে, সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপ্তিটা কত। তাই আমি সবাইকে বলি, কোনো ক্ষেত্রেই কোন সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম স্থায়ীত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগের সংস্কার না ঘটে। আমি মনে করি, বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল আজিজ আহম্মেদ ভূইয়া, আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূইয়া, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা দায়রা জজ আলমগীর কবির, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হাসান।

পরে প্রধান বিচারপতি তার দাদা ও দাদির নামে সৈয়দ জাফর আহম্মেদ ও তাবসেরুলন্নেছা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে ১০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সংস্কারই স্থায়িত্ব পাবে না : প্রধান বিচারপতি

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

হিলি উপজেলা প্রতিনিধি : 

সংস্কার ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত সাংবিধানিক সংস্কারের নীলনকশা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। তাই বলতে চাই, বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় দিনাজপুরের হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে সৈয়দ জাফর ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ওই নীলনকশায় যতগুলো উদ্দেশ্য ছিল যেগুলো আমি জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। যেটার সংস্কার হওয়া উচিত কিন্তু হয়নি, এখন সময় এসেছে সেটা হওয়ার। এখন অনেকটা আমাদের প্রাপ্তি হয়েছে। তবে আমাদের অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগ সংস্কার হয়। বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে।

ড. সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ বলেন, আমি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব গ্রহণ করি। অল্প সময়ের মধ্যেই আমি বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক সংস্কারের একটি প্রস্তাবনা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম, তার অনেকটা আমাদের প্রাপ্তি হয়েছে। তবে আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। কিছুটা পথ দুর্গম।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আমার যাত্রা শুরু হয়েছে। বরিশাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, রাজশাহী হয়ে এখন রংপুরে আছি। এখন বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রশ্ন এসেছে। আমাদের দেখতে হবে, সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপ্তিটা কত। তাই আমি সবাইকে বলি, কোনো ক্ষেত্রেই কোন সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম স্থায়ীত্ব পাবে না, যদি না বিচার বিভাগের সংস্কার না ঘটে। আমি মনে করি, বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল আজিজ আহম্মেদ ভূইয়া, আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূইয়া, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা দায়রা জজ আলমগীর কবির, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হাসান।

পরে প্রধান বিচারপতি তার দাদা ও দাদির নামে সৈয়দ জাফর আহম্মেদ ও তাবসেরুলন্নেছা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে ১০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেন।