Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে গুলশান-২ নম্বর এলাকার ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

ডিবি সূত্র জানায়, খসরুর গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতার মামলার সূত্রে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানায়, নাশকতার মামলার আসামি আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেওয়া হয়। রাতে তিনি ডিবির হাজতে থাকবেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে গুলশান থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় গুলশান থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে আটক করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনকে। পরে সন্ধ্যায় গুলশান থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতারের খবর আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির মিডিয়া সেলের আরেক সদস্য সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।

এছাড়া রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় আমির খসরুকে আসামি করা হয়েছে।

খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই দিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ।

তবে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হন। পরে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নয়া পল্টনের স্টেজে ছিলেন আমীর খসরু। তবে সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

সমাবেশের পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি ও জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। ওই দিন রাজধানীতে ও লালমনিরহাটে দুজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৩ দিনের অবরোধ পালন করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে গুলশান-২ নম্বর এলাকার ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

ডিবি সূত্র জানায়, খসরুর গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাশকতার মামলার সূত্রে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানায়, নাশকতার মামলার আসামি আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেওয়া হয়। রাতে তিনি ডিবির হাজতে থাকবেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে গুলশান থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় গুলশান থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে আটক করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভোরে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনকে। পরে সন্ধ্যায় গুলশান থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতারের খবর আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির মিডিয়া সেলের আরেক সদস্য সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।

এছাড়া রোববার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় আমির খসরুকে আসামি করা হয়েছে।

খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই দিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ।

তবে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হন। পরে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নয়া পল্টনের স্টেজে ছিলেন আমীর খসরু। তবে সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

সমাবেশের পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপি ও জামায়াত সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। ওই দিন রাজধানীতে ও লালমনিরহাটে দুজন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৩ দিনের অবরোধ পালন করে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।