Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন : আসাদুজ্জামান রিপন

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপণ করবেন না। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সোমবার (২ জুন) বিএনপির সঙ্গে আপনার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, এই সংলাপের পর আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

রোববার (১ জুন) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মনে থাকতে হবে, গণতন্ত্র জাতীয় জীবনেও থাকতে হবে। গণতন্ত্র থাকলে পালাতে হয় না। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় না। যেমন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালাননি। ১/১১-এর সময় তাঁর ওপরে চাপ ছিল। তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাননি।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করতেন না। দেশে সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম, আপনি কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়পায় কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছেন ভোটের সেই মুড়িগুলো দেখান। যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে আপনার গোলামি করব। আর যদি না দেখাতে পারেন তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পথ থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশকে বাঁচান। তিনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া এলাকায় উনার যারা চামচা ছিলেন, যারা নেতাকর্মী ছিলেন তারা ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছেন। এটা কি নির্বাচন হলো? এটা কি গণতন্ত্র হলো? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই আজকের এই সম্মেলনে সব নেতার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে চাই।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৩১ দফা পেশ করেছে। আপনারা সবাই এই ৩১ দফা সর্ম্পকে ধারণা রাখবেন। এই ৩১ দফাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেই কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ ৫০টিরও অধিক রাজনৈতিক দল আজকে ভোটাধিকার চায়, নির্বাচন চায়। নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চায়। কারণ সংস্কারের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিল। কেননা শেখ হাসিনার আমলে যখন মানুষকে গুম কর হচ্ছিল, খুন করা হচ্ছিল তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ সংস্কারের জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছিলেন। আজ সেই ২৭ দফাই ৩১ দফায় পরিণত হয়েছে।’

কোটালীপাড়া উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম আহবায়ক ফায়েকুজ্জামান, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইউসুফ আলী দাড়িয়া, সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আজ থেকে দেশের ৬৪ জেলায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন : আসাদুজ্জামান রিপন

প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কারের কথা বলে আর কালক্ষেপণ করবেন না। দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সোমবার (২ জুন) বিএনপির সঙ্গে আপনার সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি, এই সংলাপের পর আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

রোববার (১ জুন) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মনে থাকতে হবে, গণতন্ত্র জাতীয় জীবনেও থাকতে হবে। গণতন্ত্র থাকলে পালাতে হয় না। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় না। যেমন আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পালাননি। ১/১১-এর সময় তাঁর ওপরে চাপ ছিল। তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে চলে যাননি।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করতেন না। দেশে সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে হয়তো নির্বাচিত হতে পারতেন না। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলাম, আপনি কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়পায় কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছেন ভোটের সেই মুড়িগুলো দেখান। যদি দেখাতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে আপনার গোলামি করব। আর যদি না দেখাতে পারেন তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রীর পথ থেকে সরে গিয়ে আমাদের দেশকে বাঁচান। তিনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া এলাকায় উনার যারা চামচা ছিলেন, যারা নেতাকর্মী ছিলেন তারা ভোটের বাক্স ভরে দিয়েছেন। এটা কি নির্বাচন হলো? এটা কি গণতন্ত্র হলো? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই আজকের এই সম্মেলনে সব নেতার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে চাই।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ইতোমধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও মেরামতের জন্য ৩১ দফা পেশ করেছে। আপনারা সবাই এই ৩১ দফা সর্ম্পকে ধারণা রাখবেন। এই ৩১ দফাই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘সুষ্ঠ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেই কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ ৫০টিরও অধিক রাজনৈতিক দল আজকে ভোটাধিকার চায়, নির্বাচন চায়। নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চায়। কারণ সংস্কারের কথা যদি বলেন, তাহলে বলব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছিল। কেননা শেখ হাসিনার আমলে যখন মানুষকে গুম কর হচ্ছিল, খুন করা হচ্ছিল তখন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ সংস্কারের জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছিলেন। আজ সেই ২৭ দফাই ৩১ দফায় পরিণত হয়েছে।’

কোটালীপাড়া উপজেলার বিএনপির আহবায়ক এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বাশার হাওলাদার, যুগ্ম আহবায়ক ফায়েকুজ্জামান, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইউসুফ আলী দাড়িয়া, সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন।