নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিবে এটাই তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য। এটা বারবার প্রমাণিত যে- এই সংগঠন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন। সুতরাং এখন তাদের নিষিদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে এসে অবস্থান কর্মসূচি করছি। কারণ একটা তথাকথিত বিরোধী দল যারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। সেই সংগঠন দুদিনের অবরোধ দিয়েছে। তারা এর আগেও অবরোধ দিয়েছিল। সম্প্রতি তাদের দুই ধরনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। একটা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে সম্প্রতি তারা জনগণকে ধোকা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। আপনারা দেখেছেন ২৮ অক্টোবরে তারা তাদের পুরোনো সন্ত্রাসী চেহারা দেখিয়েছে। এভাবে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের আরেকটি মুখোশ হচ্ছে তাদের নেতৃত্ব দেশপ্রেমীর লেবাস পড়তে চায়, যেটা নিয়ে তারা গর্ব করে, সেই নেতৃত্ব যে কতখানি কাপুরুষ তা আপনারা জানেন। যে নেতা বিদেশে থেকে এসি রুমে বসে রিমোট চেপে চেপে রাজনীতি করে। এদেশের তরুণসমাজকে ও যুবসমাজকে বিপথে ধাবিত করে, সে কি ধরনের ভন্ড ও প্রতারক সেটা উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা তাদের নেই এ কারণেই তারা সাধারণ জনগণের ওপর চড়াও হয়েছে। এদেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে আছে এবং রাজপথে থেকেই রাজনৈতিক ভূমিকা রাখবে। সামনে নির্বাচন তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। তাদের আর পেছনে ফেরার পথ নাই। তাই তারা চড়াও হবে। এই সংগঠন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন। সুতরাং আজকে তাদের নিষিদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। এদেশের যুবসমাজ এই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণ মানুষ থেকে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরিবহণের ওপর চোরাগুপ্ত হামলা করছে। কারণ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের নেই। বিএনপির চোরাগুপ্ত হামলা প্রতিহত করতে প্রতিটি জেলা-মহানগরে পাড়া-মহল্লায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে পুলিশে সোপর্দ করে দিবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
এ ছাড়াও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ।