Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির কাছে সংস্কার নতুন নয় : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব’ বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা সংস্কারের নতুন নতুন কথা বলছেন, বিএনপির কাছে এসব কিছু নতুন নয়; সংস্কারের ৩১ দফা অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব।

তিনি বলেন, যে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরদারিতে থাকতাম। জেলে যাওয়ার আশঙ্কা সব সময় থাকতো। এখন একটু রাতে ঘুমাতে পারছি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ বছর ধরে দেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিলো না। এখন সেই সময় এসেছে। দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

আমির খসরু বলেন, একটি মুক্ত বাংলাদেশের জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই মুক্ত বাংলাদেশে বসবাস করার আবার একটা স্বপ্ন আমাদের মনে জেগেছে। হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। মানুষের নতুন ভাবনা জেগেছে। আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের এই জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এই ১৫/১৬ বছর ধরে দেশে জনগণের কোনো ক্ষমতা ছিল না। আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করেছে। এখন সময় এসেছে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার। অর্থাৎ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সার্বিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। সেগুলো আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়েই সংস্কার করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

বিএনপির কাছে সংস্কার নতুন নয় : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব’ বলে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা সংস্কারের নতুন নতুন কথা বলছেন, বিএনপির কাছে এসব কিছু নতুন নয়; সংস্কারের ৩১ দফা অনেক আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি’র ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব।

তিনি বলেন, যে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের নজরদারিতে থাকতাম। জেলে যাওয়ার আশঙ্কা সব সময় থাকতো। এখন একটু রাতে ঘুমাতে পারছি।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৫ বছর ধরে দেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিলো না। এখন সেই সময় এসেছে। দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

আমির খসরু বলেন, একটি মুক্ত বাংলাদেশের জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই মুক্ত বাংলাদেশে বসবাস করার আবার একটা স্বপ্ন আমাদের মনে জেগেছে। হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। মানুষের নতুন ভাবনা জেগেছে। আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের এই জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এই ১৫/১৬ বছর ধরে দেশে জনগণের কোনো ক্ষমতা ছিল না। আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করেছে। এখন সময় এসেছে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার। অর্থাৎ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সার্বিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। সেগুলো আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়েই সংস্কার করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।