Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয় জনগণের স্বার্থই বড় : রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয় জনগণের স্বার্থই বড়। এ কারণে বিএনপি ‘তলে তলে কিংবা প্রকাশ্যে’ কোনোভাবেই দেশ এবং জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কারও সঙ্গে আপস করেনি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছিলাম, ৭ই জানুয়ারি কোনো নির্বাচন ছিল না। ৭ জানুয়ারি ছিল ‘বিএনপির লিফলেট বনাম শেখ হাসিনার ডামি ব্যালটের’ লড়াই। দেশের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ শেখ হাসিনার ব্যালট প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ‘লিফলেট’ গ্রহণ করে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিল। সুতরাং, ওবায়দুল কাদের র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় থেকে যত কথাই বলুক, আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘তলে তলে আপস করা’ দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী একটি চক্র।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধিপ্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়িতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্তে বাংলাদেশি এলাকায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টার সেলে। বাংলাদেশের চারিদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোড়া অস্ত্রের আঘাতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। অথচ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রিজভী বলেন, রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর। এই ভদ্রলোককে দেখলাম, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের সাহেব বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?’

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার এই উল্লাসেই প্রমাণিত হয়-আওয়ামী সরকারের গণভিত্তি ধসে গিয়ে এর নেতারা আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। গত অক্টোবর ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি।’ এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয় পরগাছা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লির করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরাগত ঐতিহ্যই হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট যে দেশের মানুষের নিরাপত্তা, দেশের নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী থাকবে এই ধরনের একটি প্রচেষ্টা, এই ধরনের কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই। কেন আমাদের দেশের একজন নারী মারা যাবে অন্য দেশের মর্টার শেলের আঘাতে। উপযুক্ত জবাব কোথায়?

তিনি আরও বলেন, একটা রিটেইন প্রতিবাদ পর্যন্ত সরকার দিতে পারে না। কারণ হচ্ছে দুর্বল সরকার, জনসমর্থনহীন সরকার। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি যাদের কোনো অঙ্গীকার নেই। শুধুমাত্র যারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রশক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তারা এটাই করবে। তারা সকল প্রভুদেরকে ভয় করবে আর দেশের জনগণের ওপরে বন্দুক দেখাবে, ভয় দেখাবে।

রিজভী বলেন, সরকার তার নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য যা কিছু করবে তার কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব কিছু না, দেশের মানুষ কিছু না। যে কথাটা গতকাল আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ ব্রিফিং থেকে বলেছে তা অবশ্যই সঠিক। রহস্যজনক ভূমিকা না থাকলে যদি সত্যিকার অর্থে জনসমর্থিত সরকার থাকতো তাহলে তার কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা দেখতে পারতাম। আমরা দেখতে পারতাম সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী কী ধরনের ভূমিকা রাখছে। এগুলো খুব স্পষ্ট করে দেখা যেত।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখানে দুইটা বিষয়, একটা হচ্ছে কূটনৈতিক যুদ্ধ, আরেকটা হচ্ছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেখানে প্র্যাকটিকাল নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অবস্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে রোহিঙ্গারা এসেছিলে। আসার পর অত্যন্ত ক্ষীপ্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন তখনও রোহিঙ্গাদের দ্রুত তৎপরতার মাধ্যমে তার সমাধান করেছেন। নতজানু সরকার যেটা পারে না।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ইতোমধ্যে ডামি সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অপতথ্য রোধ জরুরি বলে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে ডাহা অপতথ্য সেটি রোধ করার ক্ষমতা কি প্রতিমন্ত্রীর আছে? কারণ তথ্য প্রতিমন্ত্রী তো ডামি নির্বাচনে আওয়ামী ডাহা অপতথ্যের প্রোডাক্ট। কারণ অপতথ্য বিতরণ করেই আওয়ামী দখলদার সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব কর্তৃক ধিকৃত, নিন্দিত ও দেশের জনগণ কর্তৃক ভর্ৎসিত ও প্রত্যাখ্যাত নির্বাচনকে শুধুমাত্র ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মোসাহেবরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছেন। আর শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তামাশা হচ্ছে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল খালেক, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয় জনগণের স্বার্থই বড় : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয় জনগণের স্বার্থই বড়। এ কারণে বিএনপি ‘তলে তলে কিংবা প্রকাশ্যে’ কোনোভাবেই দেশ এবং জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কারও সঙ্গে আপস করেনি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছিলাম, ৭ই জানুয়ারি কোনো নির্বাচন ছিল না। ৭ জানুয়ারি ছিল ‘বিএনপির লিফলেট বনাম শেখ হাসিনার ডামি ব্যালটের’ লড়াই। দেশের শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ শেখ হাসিনার ব্যালট প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ‘লিফলেট’ গ্রহণ করে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিল। সুতরাং, ওবায়দুল কাদের র‌্যাব-পুলিশের পাহারায় থেকে যত কথাই বলুক, আওয়ামী লীগ বরাবরই ‘তলে তলে আপস করা’ দেশ ও জনস্বার্থ বিরোধী একটি চক্র।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক এবং অস্ত্র বাংলাদেশে ঢুকছে। আর বাংলাদেশ সরকারের অভিসন্ধিপ্রসূত নীরবতা মূলত দেশের মানুষকে নতজানু করার এক গভীর চক্রান্ত।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়িতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে বাংলাদেশের নাগরিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়। সীমান্তে বাংলাদেশি এলাকায় নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয়। জীবন যাচ্ছে মর্টার সেলে। বাংলাদেশের চারিদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোড়া অস্ত্রের আঘাতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন এবং ভূমি এখন অরক্ষিত। প্রধানমন্ত্রীর শান্তির বাণী এখন দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রতিদিনই পিছু হটছে আর তাতে বাংলাদেশের মানুষ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। অথচ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।

রিজভী বলেন, রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যাত্রাপালার সংলাপের ঢংয়ে সস্তা বিনোদনে ভরপুর। এই ভদ্রলোককে দেখলাম, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার প্রধানের কাছে লেখা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি চিঠি নিয়ে প্রায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন। কাদের সাহেব বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘এখন আপনাদের সাহসের উৎস কোথায়? কে সাহায্য করবে?’

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার এই উল্লাসেই প্রমাণিত হয়-আওয়ামী সরকারের গণভিত্তি ধসে গিয়ে এর নেতারা আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছেন। বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। গত অক্টোবর ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য নিশ্চয়ই সবার মনে আছে, ‘আপস হয়ে গেছে। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি।’ এই কথার অর্থ দেশের জনগণ নয় পরগাছা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকে আছে দিল্লির করুণার ওপর। আওয়ামী লীগের চিরাগত ঐতিহ্যই হচ্ছে নিজ দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা। বিএসএফের গুলিতে বিজিবি মারা গেলেও আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট যে দেশের মানুষের নিরাপত্তা, দেশের নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী থাকবে এই ধরনের একটি প্রচেষ্টা, এই ধরনের কার্যক্রম আমরা দেখতে চাই। কেন আমাদের দেশের একজন নারী মারা যাবে অন্য দেশের মর্টার শেলের আঘাতে। উপযুক্ত জবাব কোথায়?

তিনি আরও বলেন, একটা রিটেইন প্রতিবাদ পর্যন্ত সরকার দিতে পারে না। কারণ হচ্ছে দুর্বল সরকার, জনসমর্থনহীন সরকার। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি যাদের কোনো অঙ্গীকার নেই। শুধুমাত্র যারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রশক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন তারা এটাই করবে। তারা সকল প্রভুদেরকে ভয় করবে আর দেশের জনগণের ওপরে বন্দুক দেখাবে, ভয় দেখাবে।

রিজভী বলেন, সরকার তার নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য যা কিছু করবে তার কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব কিছু না, দেশের মানুষ কিছু না। যে কথাটা গতকাল আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সংবাদ ব্রিফিং থেকে বলেছে তা অবশ্যই সঠিক। রহস্যজনক ভূমিকা না থাকলে যদি সত্যিকার অর্থে জনসমর্থিত সরকার থাকতো তাহলে তার কূটনৈতিক তৎপরতা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা দেখতে পারতাম। আমরা দেখতে পারতাম সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী কী ধরনের ভূমিকা রাখছে। এগুলো খুব স্পষ্ট করে দেখা যেত।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখানে দুইটা বিষয়, একটা হচ্ছে কূটনৈতিক যুদ্ধ, আরেকটা হচ্ছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেখানে প্র্যাকটিকাল নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে অবস্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে রোহিঙ্গারা এসেছিলে। আসার পর অত্যন্ত ক্ষীপ্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন তখনও রোহিঙ্গাদের দ্রুত তৎপরতার মাধ্যমে তার সমাধান করেছেন। নতজানু সরকার যেটা পারে না।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ইতোমধ্যে ডামি সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অপতথ্য রোধ জরুরি বলে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যে ডাহা অপতথ্য সেটি রোধ করার ক্ষমতা কি প্রতিমন্ত্রীর আছে? কারণ তথ্য প্রতিমন্ত্রী তো ডামি নির্বাচনে আওয়ামী ডাহা অপতথ্যের প্রোডাক্ট। কারণ অপতথ্য বিতরণ করেই আওয়ামী দখলদার সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব কর্তৃক ধিকৃত, নিন্দিত ও দেশের জনগণ কর্তৃক ভর্ৎসিত ও প্রত্যাখ্যাত নির্বাচনকে শুধুমাত্র ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মোসাহেবরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেছেন। আর শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ তামাশা হচ্ছে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদীর লুনা, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল খালেক, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ।