Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে সাধু বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে প্রথম আলো : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলোতে এসব সংবাদ আসেনি, যড়যন্ত্রের সহযোগী প্রথম আলো। বিএনপিকে সাধু বানানোর দায়িত্বটা নিয়েছে প্রথম আলো।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করা যাবে না, এটা কখনো বলিনি। কিন্তু প্রথম আলো ভাবে শত্রু, কিন্তু সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয়। সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনা সরকার যথেষ্ট করেছে। অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা কোনো সাধারণ বিষয় নয়, ফৌজদারী অপরাধ। প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। তাদের টার্গেট সরকার ও আগামী নির্বাচন। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। আর প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের যে বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সংকট ঘনীভূত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করব? শিরোনামের সংবাদ এই ষড়যন্ত্রটি একটি অংশ। একটি পত্রিকার এই সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট,ষড়যন্ত্র দূরভীসন্ধিমূলক – এতে কোনোরকম সন্দেহ নেই। এটা সাংবাদিকতার বিশ্বজনীন নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলো সংবাদটি একজন দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে যেভাবে প্রকাশ করেছে। দিনমজুরের বক্তব্য নাকী প্রথম আলো দেওয়া সেটি ভাবনার সময় এসেছে। সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া সেটাই কি এই সাংবাদিকতা।

স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই দিনে পলিটিকাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্য এই সংবাদটি মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা সামিল নয়? প্রথম আলোর এমন সংবাদ জাতিসত্তার বিন্যাসের অপতৎপরতা নয় কী?

যৌথসভা শেষে ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)

তিনি আরও বলেন, বিশ্বাসী স্বার্থান্বেষী হলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যে কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করে থাকে সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার। তারা বরাবরই বিরাজ নীতি করণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এভাবেই চিলমারীর এলাকার প্রতিবন্ধীর নারী বাসন্তীকে দশ টাকার শাড়ি খুলে ৩০০ টাকা জাল পরিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রায় তিন বছর বাংলাদেশকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিএনপির ইফতার মাহফিলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিরপুরে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপি। নিজেরা মারামারি করে, আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, জনপ্রিয় সরকারকে হেও করার জন্য, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য, সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে প্রথম আলো। কিন্তু দেশের মানুষ তা সফল হতে দেবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না জেনেই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নির্বাচনে যাবে না, আর নির্বাচন করতেও দেবে না। কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, নির্বাচন ভণ্ডুল করতে আসলে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত থাকবে। আমরা দেখব কারা এসে বাধা দেয়। আমাদের হাতিয়ার মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের সহায়তা চাইতে পারে কিন্তু জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কোনো আইনে পড়ে না। বিএনপির নালিশের রাজনীতির ধারা সেটা তারা অব্যাহত রেখেই যাবে।

তারেক জিয়ার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা ছাড়া আন্দোলন হয় না, নেতা ছাড়া নির্বাচন হয় না।

তিনি বলেন, ব্লুমবার্গের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলছে শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বে যা করেছেন, আবারো ক্ষমতায় আসবেন।

বাইরের এসব সংস্থার প্রশংসা সরকারের অর্জন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অর্জন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বিবৃতি নিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বলছে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্যই সরকার এ ধরনের মামলা করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আমি প্রথমে বলতে চাই, সরকার কিন্তু এখানে মামলা করেনি। মামলা সাধারণ একজন নাগরিকও করতে পারে। সরকার মামলা করেছে এটা সর্বাগ্রে মিথ্যা। আর ভয় দেখানোর কথা যে বলা হচ্ছে কাকে ভয় দেখাব? যাকে ভয় দেখানোর কথা বলা হয়েছে, তিনি এই দেশের মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাজনীতিকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশের সংবিধানিক সরকারকে ভয় দেখিয়েছিলেন অসংবিধানিক সরকারের পক্ষে ওকালতি করে। তারপরও কি ওয়ান-ইলেভেন আমাদের মনে নেই? কে কাকে ভয় দেখায়। তিনি বিরাজনীতির ফায়সালা নিয়ে পত্রিকার রিপোর্ট করেছেন আমরা কি ভুলে গেছি?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য টকশোতে অংশ নেয়ার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম? সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বিএনপিকে সাধু বানানোর দায়িত্ব নিয়েছে প্রথম আলো : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলোতে এসব সংবাদ আসেনি, যড়যন্ত্রের সহযোগী প্রথম আলো। বিএনপিকে সাধু বানানোর দায়িত্বটা নিয়েছে প্রথম আলো।

শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয় বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করা যাবে না, এটা কখনো বলিনি। কিন্তু প্রথম আলো ভাবে শত্রু, কিন্তু সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগের শত্রু নয়। সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনা সরকার যথেষ্ট করেছে। অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা কোনো সাধারণ বিষয় নয়, ফৌজদারী অপরাধ। প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। তাদের টার্গেট সরকার ও আগামী নির্বাচন। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সে দেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। আর প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উসকানি দেয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের যে বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সংকট ঘনীভূত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করব? শিরোনামের সংবাদ এই ষড়যন্ত্রটি একটি অংশ। একটি পত্রিকার এই সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট,ষড়যন্ত্র দূরভীসন্ধিমূলক – এতে কোনোরকম সন্দেহ নেই। এটা সাংবাদিকতার বিশ্বজনীন নীতিমালার চরম লঙ্ঘন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম আলো সংবাদটি একজন দিনমজুরের উদ্ধৃতি দিয়ে যেভাবে প্রকাশ করেছে। দিনমজুরের বক্তব্য নাকী প্রথম আলো দেওয়া সেটি ভাবনার সময় এসেছে। সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া সেটাই কি এই সাংবাদিকতা।

স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই দিনে পলিটিকাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্য এই সংবাদটি মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা সামিল নয়? প্রথম আলোর এমন সংবাদ জাতিসত্তার বিন্যাসের অপতৎপরতা নয় কী?

যৌথসভা শেষে ওবায়দুল কাদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)

তিনি আরও বলেন, বিশ্বাসী স্বার্থান্বেষী হলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যে কাজটি নিষ্ঠার সঙ্গে করে থাকে সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার। তারা বরাবরই বিরাজ নীতি করণের উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এভাবেই চিলমারীর এলাকার প্রতিবন্ধীর নারী বাসন্তীকে দশ টাকার শাড়ি খুলে ৩০০ টাকা জাল পরিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর প্রায় তিন বছর বাংলাদেশকে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিএনপির ইফতার মাহফিলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিরপুরে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপি। নিজেরা মারামারি করে, আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, জনপ্রিয় সরকারকে হেও করার জন্য, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ছোট করার জন্য, সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে প্রথম আলো। কিন্তু দেশের মানুষ তা সফল হতে দেবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।

আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না জেনেই বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নির্বাচনে যাবে না, আর নির্বাচন করতেও দেবে না। কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, নির্বাচন ভণ্ডুল করতে আসলে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত থাকবে। আমরা দেখব কারা এসে বাধা দেয়। আমাদের হাতিয়ার মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘের সহায়তা চাইতে পারে কিন্তু জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কোনো আইনে পড়ে না। বিএনপির নালিশের রাজনীতির ধারা সেটা তারা অব্যাহত রেখেই যাবে।

তারেক জিয়ার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা ছাড়া আন্দোলন হয় না, নেতা ছাড়া নির্বাচন হয় না।

তিনি বলেন, ব্লুমবার্গের মতো প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মাধ্যম বলছে শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বে যা করেছেন, আবারো ক্ষমতায় আসবেন।

বাইরের এসব সংস্থার প্রশংসা সরকারের অর্জন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অর্জন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বিবৃতি নিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বলছে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্যই সরকার এ ধরনের মামলা করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আমি প্রথমে বলতে চাই, সরকার কিন্তু এখানে মামলা করেনি। মামলা সাধারণ একজন নাগরিকও করতে পারে। সরকার মামলা করেছে এটা সর্বাগ্রে মিথ্যা। আর ভয় দেখানোর কথা যে বলা হচ্ছে কাকে ভয় দেখাব? যাকে ভয় দেখানোর কথা বলা হয়েছে, তিনি এই দেশের মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাজনীতিকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশের সংবিধানিক সরকারকে ভয় দেখিয়েছিলেন অসংবিধানিক সরকারের পক্ষে ওকালতি করে। তারপরও কি ওয়ান-ইলেভেন আমাদের মনে নেই? কে কাকে ভয় দেখায়। তিনি বিরাজনীতির ফায়সালা নিয়ে পত্রিকার রিপোর্ট করেছেন আমরা কি ভুলে গেছি?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য টকশোতে অংশ নেয়ার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম? সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান খান, লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।