Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসও করে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসও করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ধারণ করে না। এটা আজ বাংলাদেশে প্রমাণিত সত্য।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরসহ পাঁচ জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে; বাংলাদেশে রাজনীতিতে একটা মহল বিএনপির নেতৃত্বে এরা এখনও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত দিবসগুলোকে অস্বীকার করে, তারা পালন করে না; তারা উপেক্ষা করে। এরমধ্যে ১৭ এপ্রিল একটি। এদিন দেখা যাবে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই, তারা পালন করে না। ৭ মার্চের যে ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; তারা স্বীকারও করে না পালনও করে না। আমাদের স্বাধীনতার পথে স্বাধীকার সংগ্রামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের নাম হচ্ছে ৭ জুন, তারা পালনও করে না স্বীকারও করে না। এরা নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়েছিল সেই ধারা বিএনপি এখনো অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি এমনটা করেছে, এখনো তারা সেই ভাবধারা বহন করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় তারা বিশ্বাস করে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক বলে যাকে দাবি করেন যিনি ঘোষণার অন্যতম পাঠক। আবুল কাশেম সন্দীপ, এম এ হান্নান, এরকম অনেক পাঠক ছিল। জিয়াউর রহমানও তাদের মধ্যে একজন ঘোষণার পাঠক। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। ঘোষণা বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারও ছিল না। বঙ্গবন্ধুরই একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল। সত্তরের নির্বাচনের যে মেন্ডেট এদেশের জনগণ তাকে দিয়েছিল, সে মেন্ডেটের ঘোষণা বলেই স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকার তারই ছিল।

তিনি বলেন, সুদীর্ঘ ও সুবিশাল ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামের। একটা বাঁশির ফুঁতে হয়নি। সেখানে বীরের বীরত্ব আছে, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রও আছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের ফুটনোট হতে পারে, তাকে নায়ক-মহানায়ক বানানো বিএনপির উদ্ভট কল্পনা, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, এই অপশক্তির কালো ছায়া এখনও রয়ে গেছে। এই অপশক্তি যে বিষবৃক্ষের জন্ম দিয়েছে, এই বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ বছরে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা বজায় থাকলে যেটুকু উন্নয়ন অসম্পূর্ণ আছে, সেটা সম্পূর্ণ হবে।

বিএনপির সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাকে রাজনৈতিক ভণ্ডামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। পরে দেখা গেল বিএনপিই ৩০ আসন পেয়েছে। জনমত বিগড়ে যাচ্ছে। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আপনাদের অঙ্গন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না এ কথা বলেছে; আমরা তো তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি, এটা তাদের অধিকার, এটা কোনো সুযোগ না। এটা জাতীয় নির্বাচনের যেমনও সিটি নির্বাচনেও তেমন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই ঘোমটা পরা প্রার্থী কিন্তু সিটি নির্বাচনেও থাকবে। সিলেটের মেয়র আরিফ (বর্তমান) তিনি এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। কাজেই অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটা পরা তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা বিএনপির রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি। এটা ভণ্ডামি, তারা করছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ নির্দিষ্ট জেলাসমূহের দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যগণ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসও করে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসও করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ধারণ করে না। এটা আজ বাংলাদেশে প্রমাণিত সত্য।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরসহ পাঁচ জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে; বাংলাদেশে রাজনীতিতে একটা মহল বিএনপির নেতৃত্বে এরা এখনও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত দিবসগুলোকে অস্বীকার করে, তারা পালন করে না; তারা উপেক্ষা করে। এরমধ্যে ১৭ এপ্রিল একটি। এদিন দেখা যাবে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই, তারা পালন করে না। ৭ মার্চের যে ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; তারা স্বীকারও করে না পালনও করে না। আমাদের স্বাধীনতার পথে স্বাধীকার সংগ্রামে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের নাম হচ্ছে ৭ জুন, তারা পালনও করে না স্বীকারও করে না। এরা নাকি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যা শুরু করে দিয়েছিল সেই ধারা বিএনপি এখনো অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি এমনটা করেছে, এখনো তারা সেই ভাবধারা বহন করছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় তারা বিশ্বাস করে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক বলে যাকে দাবি করেন যিনি ঘোষণার অন্যতম পাঠক। আবুল কাশেম সন্দীপ, এম এ হান্নান, এরকম অনেক পাঠক ছিল। জিয়াউর রহমানও তাদের মধ্যে একজন ঘোষণার পাঠক। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। ঘোষণা বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কারও ছিল না। বঙ্গবন্ধুরই একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল। সত্তরের নির্বাচনের যে মেন্ডেট এদেশের জনগণ তাকে দিয়েছিল, সে মেন্ডেটের ঘোষণা বলেই স্বাধীনতা ঘোষণা করার অধিকার তারই ছিল।

তিনি বলেন, সুদীর্ঘ ও সুবিশাল ইতিহাস স্বাধীনতা সংগ্রামের। একটা বাঁশির ফুঁতে হয়নি। সেখানে বীরের বীরত্ব আছে, পাশাপাশি ষড়যন্ত্রও আছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের ফুটনোট হতে পারে, তাকে নায়ক-মহানায়ক বানানো বিএনপির উদ্ভট কল্পনা, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, এই অপশক্তির কালো ছায়া এখনও রয়ে গেছে। এই অপশক্তি যে বিষবৃক্ষের জন্ম দিয়েছে, এই বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ বছরে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা বজায় থাকলে যেটুকু উন্নয়ন অসম্পূর্ণ আছে, সেটা সম্পূর্ণ হবে।

বিএনপির সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাকে রাজনৈতিক ভণ্ডামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বলেছিল আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না। পরে দেখা গেল বিএনপিই ৩০ আসন পেয়েছে। জনমত বিগড়ে যাচ্ছে। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আপনাদের অঙ্গন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না এ কথা বলেছে; আমরা তো তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি, এটা তাদের অধিকার, এটা কোনো সুযোগ না। এটা জাতীয় নির্বাচনের যেমনও সিটি নির্বাচনেও তেমন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি যে, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ ছিল না, কিন্তু ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই ঘোমটা পরা প্রার্থী কিন্তু সিটি নির্বাচনেও থাকবে। সিলেটের মেয়র আরিফ (বর্তমান) তিনি এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। কাজেই অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটা পরা তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা বিএনপির রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি। এটা ভণ্ডামি, তারা করছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ নির্দিষ্ট জেলাসমূহের দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্যগণ।