Dhaka শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয় : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, চলুন আমরা আজ এক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হই, আর তা হলো বাংলাদেশ।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইস (১৫৩৫ ব্রডওয়ে)-এ অনুষ্ঠিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের একটি সেশনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দল অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাজে সহযোগিতা করছে। আমি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে একটি কথা- আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। অধ্যাপক ইউনূস যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের- তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বের হয়ে আসছিল।

জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী, লড়াই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশ্ববাসী দেখেছে আমরা বিপ্লব পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী দিনেও আমরা দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। দুনিয়াজোড়া তার সুনাম। তিনি দেশকে একটি কাঙ্ক্ষিত মানে দেখতে চান। এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরও চাওয়া ছিলো। আমি ড. ইউনূসের মাঝে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

তিনি বলেন, আর ৫ মাস পর দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকার গঠন করবে, তারাও এভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে আশা করি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। আগের স্বৈরাচারী শাসন জনগণের আস্থা ধ্বংস করেছে এবং দেশকে বিপর্যস্ত করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম আধুনিকভাবে চিন্তা করে এবং বিএনপি তাদের আধুনিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণ-তরুণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনও বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হয়ে গেল ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয় : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, চলুন আমরা আজ এক বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হই, আর তা হলো বাংলাদেশ।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইস (১৫৩৫ ব্রডওয়ে)-এ অনুষ্ঠিত ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের একটি সেশনে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দল অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাজে সহযোগিতা করছে। আমি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে একটি কথা- আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। অধ্যাপক ইউনূস যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের- তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বের হয়ে আসছিল।

জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী, লড়াই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিশ্ববাসী দেখেছে আমরা বিপ্লব পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনায় ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী দিনেও আমরা দেশের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ থাকবো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। দুনিয়াজোড়া তার সুনাম। তিনি দেশকে একটি কাঙ্ক্ষিত মানে দেখতে চান। এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরও চাওয়া ছিলো। আমি ড. ইউনূসের মাঝে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।

তিনি বলেন, আর ৫ মাস পর দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই সরকার গঠন করবে, তারাও এভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে আশা করি।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। আগের স্বৈরাচারী শাসন জনগণের আস্থা ধ্বংস করেছে এবং দেশকে বিপর্যস্ত করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম আধুনিকভাবে চিন্তা করে এবং বিএনপি তাদের আধুনিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণ-তরুণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনও বক্তব্য রাখেন।