নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি শুধু একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল নয়, তারা হচ্ছে জালিয়ত রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই অংশ নেয়নি তারা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর লালবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৯৯৪ সালে ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণ আলোচনা সভা ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে তারা নির্বাচনে আসেনি। বিএনপি-জামায়াত খুনিচক্র, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর মতো মানুষ হত্যার রাজনীতি করে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় সমস্ত বিশ্ব যখন তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভুয়সী প্রশংসা করছে, বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করছে, ঠিক তখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি দেশে দেশে লবিস্ট নিয়োগ করছে।
টিআইবির রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতিসংঘের কোন অধীনস্থ কর্মকর্তা কি বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। জাতিসংঘ প্রধান চিঠি দিয়ে সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গতকাল সংসদ অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়াসহ ৮০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার এবং সংসদের বৈধতা।
জাতিসংঘের মহাসচিবের বাইরে অন্য কারো বিবৃতি সরকার পরোয়া করে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগরের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।